এই মুহূর্তে জেলা

লাভের জন্য তুলে ফেলা হচ্ছে ছোট সাইজের পোখরাজ ও সুপারসিক্স আলু, বছর শেষে আলু সঙ্কটের সম্ভাবনা !


 

 

হাওড়া,২৫ ফেব্রুয়ারি:- মাস দেড়েক হতে চলল বাজারে এসেছে নতুন আলু। জ্যোতির বদলে ছোট সাইজের পোখরাজ ও সুপারসিক্স আলুতেই ভরেছে। স্বাদে যা জ্যোতি আলুর ধারে কাছে নেই। লাভের জন্য তুলে ফেলা হচ্ছে। জ্যোতি,  চন্দ্রমুখী যখন উঠবে দাম থাকবে তো! এতেই চাষিদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের করে নেওয়া হয়। নতুন বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় চাষির জমির নতুন আলু হিমঘরে পাঠানো। এ বছর পুরনো আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকায় পৌঁছে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশপাশি চাষিদের মধ্যেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ চাষিদের মেলেনি। একটা বড় অংশ চলে গিয়েছিল ব্যবসায়ীদের পকেটে। লাভের আশায় নতুন আলু পুরুষ্টু হবার আগেই তুলে ফেলছেন চাষিদের একাংশ। ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জ্যোতি আলুর বদলে নতুন আলু সুপারসিক্স দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে ? চাষিদের একাংশের কথায়, বর্ষার সময় সঠিক পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়া। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব। পাশপাশি পুজোর সময় অকাল বৃষ্টি উদয়নারায়ণপুর, আমতার ধান চাষের পর্যায়কালকেই প্রভাবিত করেনি, প্রভাব ফেলেছে সামগ্রিক কৃষি ব্যবস্থায়। এর ফলে একাধিক চাষ পিছিয়ে গিয়েছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান দেরিতে ওঠায় আলু বসাতে মাস দেড়েক দেরি হয়েছে। বারংবার পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে অকাল বৃষ্টি আর তাপমাত্রার হেরফের ডেকে এনেছে নাবি ধসা রোগ। পাশাপাশি চিন্তার বিষয়, এ বছর শীতে বার কয়েক অকাল বৃষ্টির কারণে আলুর গায়ে রিং দাগ, কালো দাগ এবং পচে যাওয়া ফলন হ্রাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা লাভের কথা ভেবে এবং বাজারে দামের আশায় অপরিণত আলু তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এখানেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অপুরুষ্টু আলু তুলে ফেলার কারণে এই মরসুমের শেষের দিকে পুনরায় আলুর অগ্নিমূল্যের কারণ হবে বলে মনে করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন পোখরাজ ও সুপারসিক্স আলু মূলত বাজারে এসেছে। দাম ১৩ টাকা থেকে ১৬ টাকার মধ্যে দাম। আসেনি বহুল প্রচলিত জ্যোতি বা চন্দ্রমুখী আলু। দামের কথা ভাবাচ্ছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। কৃষকদের সচেতন করা হলেও সুরাহা খুব একটা হয়নি তা বোঝা যাচ্ছে বাজারে ছোট সাইজের আলু বিক্রি দেখে। উদয়নারায়ণপুর ব্লকের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। ঋণ নিয়ে পোখরাজ ও সুপারসিক্স, জ্যোতি,  চন্দ্রমুখী আলু বসিয়ে লাভের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু লাভের লাভ নির্ভর করে ফলনের উপর। পাশাপাশি দাম নির্ভর করে ভিন রাজ্যে বিক্রির উপর। এবার লাভের জন্য তুলে ফেলা হচ্ছে ছোট সাইজের পোখরাজ ও সুপারসিক্স আলু। জ্যোতি আলু উঠবার সময় কতটা দাম থাকবে চিন্তায় চাষিদের একাংশ !

There is no slider selected or the slider was deleted.