এই মুহূর্তে খেলাধুলা

  নেই সমর্থকদের ডার্বি জয়ের প্রার্থনা, তৱুও ডার্বি জিততে মরিয়া ভিকুনা।

অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ১৮ জানুয়ারি:-  ‘১ বছরের ওপর আমরা অপেক্ষা করেছি। আর কয়েকদিন আমরা অপেক্ষা করতে পারতম না ! নিশ্চই পারতাম। ঠিক ডার্বির আগেই এটিকের সঙ্গে যুক্ত হতে হল। আমরা এত ভালো ফর্মে । আমাদের আর ডার্বি নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই।’ ডার্বির আগেরদিন মোহনবাগান এক সমর্থকের মন্তব্য এরকমই। চিমটি কেটে দেখতে হবে ডার্বির আগেরদিন তো ! কোথায় গেল সেহ ইলিশ, চিংড়ির লড়াই ! লাল হলুদ, সৱুজ মেরুনের আবেগ কি এটিকে আশায় অভিমানে আধুনিকতায় ডুব দিযে দিল ! হাতে গোনা কয়েকজন সমর্থক এসেছে ‘আমরা মোহনবাগানি’ এমন পোস্টার নিযে পকেটে পয়সা আছে অথচ খরচ করা যাচ্ছে না ব্যাপরটা ঠিক এমনহ। টেবিলের শীর্ষস্থানে থেকেও মোহনবাগান সমর্থকদের নিজেদের আবেগ বিসর্জন চলে যেতে তারা আনন্দ করতে পারছে না। আয়োজক আবার এহ ডার্বিতে মোহনবাগান তাই টিকিটের চাহিদা তো থাকেহ। বক্স অফিস রিপোর্টের মতো ডার্বির আগের ১ সপ্তাহ টিকিটের মহামারি শরু হয়।  ব্ল্যাক এই সব চিত্র এই ডার্বিতে নেই। কর্তাদের কাছে চাইলে টিকিট মিলছেও বিকাল পর্যন্ত ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                        খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও বাগান কর্তারা টিকিট দিযে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল ডার্বিতে মাঠ ভরবে তো ! বাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত আশ্বাস দিচ্ছেন , ‘ওগুলো ফেসৱুকের খেলা। ওখানে ১০ টা লোক আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আমাদের হয়ে গলা ফাটাতে আসবে ১০ হাজারের বেশি সমর্থক। আমাদের সিদ্ধান্তে তারা যে পাশে রয়েছেন  তা তারা ফোন করেও বলছে।’ এদিকে আবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকেও  ডার্বি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁকে বাগান গ্যালারি কেমন আপ্যায়ণ করে সেদিকে নজর থাকবে। এ যদি মোহনবাগান সমর্থকদের ও কর্তাদের প্রতিচ্ছবি হয় তাহলে ফুটবলার ও সাপোর্টস্টাফদের অবস্থা  আরো খারাপ। এটিকে ইতিমধ্যেহ হাবাস ও সঞ্জয় সেনের সঙ্গে চু্ক্তি বাড়িযেে ফলে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও কিৱু ভিকুনার সঙ্গে বাগানকর্তাদের গোলেন হ্যান্ডশেক করতে হবে। অর্ধেকের বেশি ফুটবলার পরের মরসুমে দলে থাকবেন এই অপ্রিয় সত্যটা ধরে নিযে তারা অনুশীলন করছে। মুখে কিছু না বললেও ফুটবলাররাও ভেতরে ভেতরে ফুঁসছেন বাগান কর্তাদের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ডার্বির আগে কি চাপ অনুভব করছেন ? যেখানে সমর্থকরা বলছেন না এহ ডার্বিটা ক্ত্তি জিতিযে দিতে হবে সেখানে চাপ আর থাকবে কোথায়। সাংবাদিক সম্মেলনে বাগান কোচ কিৱু ভিকুনা বলেন, ‘চাপ নেহ আমরা শীর্ষে রযেি। তবে নতুন ম্যাচ বড় ম্যাচ। বিপক্ষ খুবহ শক্তিশালী। তবে আমার কাছে প্রত্যেক ডার্বিহ স্পেশাল। এহ ম্যাচটাতেহ ফোকাস করতে চাহ।’

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                এটিকে এসেছে পরের মরসুমের কথা কী ভাবছেন? এই প্রশের উত্তরে বাগানের স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘আমাদের কাছে চাপ নেই। পরের মরসুমে কী হবে তা নিযে ভাবছি না। আমাদের কাজ পারফর্ম করা। সেই অনুযায়ী ভালো ফল করে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ মোহনবাগান জিতছে  স্ট্রাহকাররা গোলের মধ্যে নেই। সে নিযে ভিকুনা বলেন, ‘কোনো চিন্তা করছি না। ওরা ক্লাস ফুটবলার ঠিক গোলের মধ্যে ফিরবে। আমরা দল হিসেবেই খেলব।’ এই ডার্বি বাগান ফরোয়ার্ডের কাছে বড় পরীক্ষা বাবা ও কোমরন তুরসনভ দুজনেরই ডার্বিতে অভিষেক হবে। তবে ডিকার সেটপিস ভাবাচ্ছে বাগান কোচকে। এখনো ডার্বিতে জয় পাননি কিৱু। সেকারণে জযে খাতা খুলতে চাহছেন তিনি। ফ্রান গঞ্জারলেস নিজের দ্বিতীয় ডার্বিতে নামার আগে বলেন, ‘শধু জেতার জন্যই মাঠে নামব। আমার কাছে সমর্থকদের ভালোবাসাই সব। তাঁদের জন্য অন্তত ম্যাচটা জিততে চাই। গোল করতে চাই।’ প্লেয়াররা তো চান।  মোহনবাগানে গোল হলে চিংড়ি, পালতোলা নৌকার আনন্দে আত্মহারা মোহনবাগান গ্যালারি কি দেখা যাবে বাগান গ্যালারিতে তা এখন বড় প্রশ্ন !

There is no slider selected or the slider was deleted.