মালদা,১৫ ডিসেম্বর:- এনআরসি এবং ক্যাবে’র বিরোধিতায় নিয়ে উত্তাল রাজ্য। সবথেকে বেশি গোলমালের ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায় ।আর তারই জেরে মালদা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পর্যন্ত সমস্ত সরকারি-বেসরকারি বাস বন্ধের মুখে । রবিবার বহরমপুর যাওয়ার বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এদিন সকালে মালদার রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এলাকার সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস দেখা যায় বহরমপুরগামী সমস্ত সরকারি , বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। গোলমালের ভয়ে বহরমপুর রুটে যেতে চাইছেন না চালকেরা। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ও অবশ্য চালকদের সমর্থন জানিয়েছেন । কোনরকম ভাবে তারা ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পক্ষ থেকেও এব্যাপারে বিশদ ভাবে কিছু জানানো হয় নি। তবে সরকারি বাসের এক চালক জানিয়েছেন , নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিক পঞ্জি বিল নিয়ে মুশিদাবাদে গোলমাল চলছে। বিভিন্ন এলাকায় বাসে ও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাণ ভয়ে তাই বহরমপুরের দিকে কোনো বাসই এদিন মালদা থেকে ছাড়ে নি। এদিন মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকাতেও বাস ধরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে বাস না পেয়ে রীতিমতো দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীদের আবার ছোট-ছোট যানবাহনে বাদুড়ঝোলা হয়ে ফারাক্কা পর্যন্ত যেতে দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে রবিবারের দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ যাত্রীদের।অন্যদিকে মালদা টাউন স্টেশনে সকাল থেকেই শুনশান । যাত্রীদের দেখা নেই। টাউন স্টেশনে নিরাপত্তায় রেলপুলিশের নামানো হয় পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী টাউন স্টেশনে বসে থাকতে দেখা যায় কলকাতায় যাওয়ার জন্য। কিন্তু অনেক ট্রেন বাতিল হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অথচ যে টাউন স্টেশনে প্রতিদিন সকাল থেকে যাত্রীদের অসংখ্য ভিড় থাকে। এনআরসি এবং ক্যাবে’র বিরোধিতায় গোলমাল, বিক্ষোভের ঘটনার পর থেকে এখন শুনশান মালদা টাউন স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড এলাকাগুলি। সাধারণমানুষ বলেছেন, এইভাবে হাঙ্গামা করে কোন কিছুর সমাধান হয় না । যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে মাথায় রাখতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে না পারেন।মালদা টাউন স্টেশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে । তারপর মালদা টাউন স্টেশনে রেল পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে।