এই মুহূর্তে জেলা

বিষ্ণুপুরে রক্ষাকালী মন্দিরে “মায়ের আলতা পরা পায়ের ছাপ”এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

 

বাঁকুড়া,১২ ডিসেম্বর:-  ‘মন্দিরে মায়ের আলতা পরা পায়ের ছাপ’ দেখা গেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসিকগঞ্জ এলাকার রক্ষাকালী মন্দিরে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যা থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জের রক্ষাকালীর মন্দিরটি বেশ পুরাণো। নিত্য পুজা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত সমাগম হয় এখানে। মন্দিরে ‘মায়ের পায়ের ছাপ’ দেখা গেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত মানুষ এই মন্দিরে ছুটে আসছেন। অতি উৎসাহীরা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে রাখছেন সেই পায়ের ছাপ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

বংশপরম্পরায় এই মন্দিরে পুজো করে আসা বুবাই পুরোহিত বলেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সন্ধ্যারতি করতে মন্দিরে আসি। প্রথমে সেভাবে কিছু নজরে আসেনি। সন্ধ্যারতি মন্দিরের মেঝেতে মায়ের পায়ের ছাপ দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। গত ১৩ বছর ধরে এখানে তিনি পুজো করলেও এই ঘটনার প্রথম দেখলেন দাবী করে বলেন, তার দাদু গোপাল পুরোহিত যখন পুজো করতেন তখন একবার এইরকম মায়ের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল।

There is no slider selected or the slider was deleted.

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসংখ্য মানুষ রক্ষা কালী মন্দিরে ভীড় করছেন। ডিসেম্বরের শীতকে উপেক্ষা করে উৎসাহী মানুষের ভীড় বাড়ছে এখানে। এলাকাবাসী অসিত দও বলেন, খবরটা পাওয়ার পরই এখানে ছুটে এসেছি। এসে দেখলাম মায়ের পায়ের ছাপ স্পষ্ট। মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি হয় ঠিক সেই সময় পুরোহিত মায়ের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এই ধরণের ঘটনার ২৫ – ৩০ বছর আগে একবার ঘটেছিলো। সেই থেকে এই মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি শুরু হয়।

There is no slider selected or the slider was deleted.