এই মুহূর্তে জেলা

স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা ছিলেন স্বামী।তাকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে।অভিযুক্তকে আটক করেছে মগড়া থানার পুলিশ।

হুগলি, ২১ ডিসেম্বর:- মগড়ার শেরপুর এলাকায় বাড়ি প্রসেনজিৎ দাসের (৩৬)। সাটারিং এর কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে তার স্ত্রী রত্না দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলাগড় নিত্যানন্দপুরের সুব্রত ভক্তর। প্রসেনজিৎ রত্নার ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন। তাদের এক সন্তান রয়েছে। প্রসেনজিৎ এই সম্পর্ক মানতে চায়নি বলে দাবী পরিবারের। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলত সুব্রত রত্না। এই নিয়ে স্ত্রীর প্রেমিক সুব্রতর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় প্রসেনজিৎ এর। প্রসেনজিৎ এর মা কল্পনা দাস বলেন, শনিবার সন্ধা সারে সতটা নাগাদ সুব্রত মদ খেয়ে বাড়িতে আসে। প্রসেনজিৎ কে ডাকাডাকি করে। তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি। সে সময় প্রসেনজিৎ কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল দুজনে কথা কাটাকাটি হয়।

তারপরই ছুরি মেরে দেয় সুব্রত। মগড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানিয়ে দেয় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। খবর পেয়ে মগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নমুনা সংগ্রহ করে। বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসবাদ করে। প্রসেনজিৎ এর বোন খবর পেয়ে মগড়া থানায় যান। তিনি বলেন, বৌদির সঙ্গে সুব্রতর প্রেম অনেক দিনের।তা নিয়ে অশান্তি হত। ছেলের কথা ভেবে দাদা মানিয়ে চলত। আমার বৌদি তার প্রেমিককে দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছে। দুজনেরই শাস্তি চাই। মগড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।