এই মুহূর্তে জেলা

কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় চড়া হলোনা, চন্দননগরের বাড়িতে ফিরলেন পিয়ালী

হুগলি, ৭ জুন:- কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় চড়া হল না, শরীর খারাপ হওয়ায় ক্যাম্প ফোর থেকে বাড়ি ফিরলেন পিয়ালী বসাক। বললেন, কোথায় থামতে হয় জানা উচিত,পর্বতারোহণ পরেও করা যাবে। এর আগে ২২ মে ২০২২ সালে এভারেস্ট জয় করেন চন্দননগরের পর্বতারোহী। দু বছর আগে মাকালু ও অন্নপূর্না জয়ের পর এবার লক্ষ ছিল শিশাপাংমা। পিয়ালী আট হাজার মিটার উচ্চতার ,মানাসুলু, ধৌলাগিরি, লোৎসে, অন্নপূর্ণা, মাকালু, এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছেন। এছাড়া আরো সাতটি শৃঙ্গ জয় করেছেন যেগুলো আট হাজার মিটারের কম। এখনো পর্যন্ত পনেরো বারের অভিযান করেছিলেন। ষোলোতম অভিযান ছিল শিশাপাংমা।

চীন অনুমতি না দেওয়ায় সেই অভিযান হয়নি।তার পরিবর্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় আহরণ করার অভিযান করেন। গত ৭ এপ্রিল অভিযানে বের হন চন্দননগর থেকে। ব্যাঙ্ক এনডোসমেন্ট হিসাবে বেসরকারী ব্যাঙ্ক ২০ লক্ষ টাকা স্পন্সর করে। পিয়ালীর মা স্বপ্না বাবা তপন বসাক প্রয়াত হয়েছেন গত এক বছরের মধ্যে। তারা সব সময় পিয়ালীকে উৎসাহ দিয়েছেন। পিয়ালীকে হাত ধরে পাহাড়ে নিয়ে যেতেন তারা।মা বাবার অনুপস্থিতি ফাঁকা লাগে, পিয়ালীকে অনেকটাই দূর্বল করে দিয়েছিল ভিতর থেকে। তবে তাদের জন্য আবার পর্বতারোহনে বের হন। পিয়ালী বিষ্ময় কন্যা। সে ইতিমধ্যে পাহাড় কন্যার নাম পেয়েছেন।

তার চেষ্টা অদম্য জেদ সবার কাছে দৃষ্টান্ত হতে পারে। শেষবার মাকালু অভিযানে সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরতে হয়েছে তাকে।নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাসাধিক কাল নেপালের কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এবারের অভিযান যথেষ্ট কঠিন ছিল। তবে ভয় পান না পিয়ালী। পাহাড়ের চূড়ায় তার অনায়াস বিচরন। আজই নেপাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন পিয়ালী। তিনি বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা আগে ওঠা হয়নি। তাই এবার যখন শিশাপাংমা অভিযান হলনা। ঠিক করলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা উঠব। সব ঠিকই ছিল।খুব ভালো ক্লাইম্বিং করছিলাম। কিন্তু ক্যাম্প ফোর থেকে সামিট করতে আর এক হাজার মিটার দূরে থামতে হয় তাকে। জ্বর কাশি শুরু হওয়ায় ভারতীয় সেনা তাকে ওষুধ দেয়।

ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও আর এগোনো হয়নি। কারন শেরপারা অসুস্থ হয়ে পরে। পাহাড়ের আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় আর ঝুঁকি নেননি পিয়ালী। ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পাহাড় চড়ার জেদ থাকার পাশাপাশি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জানতে হয়। যতটা পাহাড় চড়া ততটাই ফিরে আসার ক্ষমতা থাকা দরকার। জীবন থাকলে আবার অভিযান হবে। তাই আপাতত স্কুল যাওয়া আর বাড়িতে থেকে শরীর চর্চা। পিয়ালীর স্বপ্ন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পর্বতারোহী হওয়া। সব মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গুলো আহরণ করা।