হুগলি, ২৬ সেপ্টেম্বর:- সন্তানের সামনে স্ত্রীকে খুন করায় অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বারুইকে আজ দশ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। গতকাল সন্ধায় কানাইপুরে নিজের ঘরে গুলিবিদ্ধ হন গৃহবধূ মৈত্রী বারুই। ঘরে সেসময় তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে ও স্বামী ছিলেন। পটকা ফাটার শব্দ পেয়ে বধুর শ্বশুর পরিমল বারুই তাদের ঘরে ঢোকেন। দেখেন গলা দিয়ে রক্ত পরছে বৌমার। তড়িঘড়ি কানাইপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বধুকে। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ বধুর স্বামী প্রসেনজিৎ কে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল। গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযু্ক্তের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন যুবক। বছর সাতেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মৈত্রীকে। তাদের পাঁচ বছরের ছেলে আছে। সেই ছেলেই সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বধুর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রথমে দাবী করেছিল আগ্নেয়াস্ত্র কালকেই কুড়িয়ে পেয়েছে। আবার পরে দাবী করে মাস দুয়েক আগে ন’ পাড়ায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে অস্ত্র পায়। লোকাল মেড ২ এমএম পিস্তলটি বাড়িতেই ছিল। গতকাল সেটি বের করে নাড়াচাড়া করার সময় গুলি ছুটে যায়। যদিও পুলিশ তার দাবীর সত্যতা খতিয়ে দেখছে। পিস্তল কোথা থেকে পেলো সেটা জানার পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল, বিবাহবহির্ভূত কোনো সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মামলায় সেই মোবাইল থেকে সূত্র মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। মৃতার শ্বশুর পরিমল বারুই এর দাবী তার ছেলে বৌমার সুখি সংসার ছিল।সেই দাবীর সত্যতার খোঁজে এখন পুলিশ।