হাওড়া, ২৩ আগস্ট:- দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির লক্ষেই ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে দেশে ফিরে রাধাগোবিন্দ কর ওরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ভেবেছিলেন। সেই চিন্তা থেকেই কলকাতার তৎকালীন সেরা কয়েক জন বাঙালি চিকিৎসককে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করেন। ১৮৮৬ সালে শুরু হয় মেডিক্যাল স্কুল ‘ক্যালকাটা স্কুল অব মেডিসিন’। যা সমগ্র এশিয়া মহাদেশে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রথম মেডিক্যাল স্কুল। ১৮৮৭ সালে সেখানেই অ্যালোপ্যাথি বিভাগ শুরু হয়। তখন নতুন নাম হয় ‘ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল’। ক্রমে রাধাগোবিন্দ করের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হতে থাকে। এর পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বেলগাছিয়ায় ১২ বিঘে জমি কেনেন। সেখানেই স্কুলের নিজস্ব বাড়ি তৈরি হয়।
রাধাগোবিন্দ করের প্রথম বেসরকারি মেডিক্যাল স্কুল স্থাপনের কয়েক বছর পরেই আরও একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়— ‘কলেজ অব ফিজ়িশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স অব বেঙ্গল’। ১৮৯৫ সালে তৈরি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৯০৪ সালে রাধাগোবিন্দ করের তৈরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই যৌথ প্রতিষ্ঠানটিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রূপে গড়ে তোলার প্রস্তাব পাশ হয় ১৯১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। যা আজকের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এই কলেজের এই ঘটনা নিয়ে সমগ্র বিশ্ব পথে নেমেছে। এই আবহেই আরজি করের অনাড়ম্বর জন্মদিবস পালিত হল হাওড়ার বেতড়ের তাঁর বাড়িতে। শুক্রবার ছিল এই মহান ব্যক্তির ১৭৪ তম জন্মদিবস। প্রতি বছর আজকের দিনটা জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হলেও এ বার সত্যিই জৌলুস হারিয়েছিল। কারণ, আরজি করের ঘটনায় ব্যথিত তাঁর উত্তরসূরিরা।