এই মুহূর্তে জেলা

আদালতের ভিতরেই সাক্ষী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন।

হুগলি, ১৬ সেপ্টেম্বর:- আদালতে বিচারকের সামনে স্বাক্ষ দিতে এসেছিলেন, ভরা আদালতে সেই স্বাক্ষীকে গুলি করে খুন করেছিল আততায়ী। চন্দননগর আদালতে আজ অভিযু্ক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হল। ২০১১ সালে হার হিম করা ঘটনার স্বাক্ষী ছিল চন্দননগর আদালত। ভরা আদালতে তখন বিভিন্ন মামলার বিচার পর্ব চলছে। ফার্স্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতে স্বাক্ষ দিতে আসেন সোমনাথ কোলে। বিচারের সামনে এজলাসের ভিতর তাকে গুলি করে আরশাদ সেখ। আরশাদ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। রাজমিস্ত্রীর কাজে সিঙ্গুরের নসীবপুরে থাকতেন। সেখানে এক যুবতীর সঙ্গে তার প্রেম হয়। সেই প্রেমিকা সোমনাথ কোলেকে বিয়ে করে নেয়। এরপর থেকে যুবতীকে উত্যক্ত করতেন আরশাদ। একদিন রাস্তায় একা পেয়ে মারধোরও করেন।

সেই ঘটনায় অভিযোগ হয় সিঙ্গুর থানায়। ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়।সেই মামলায় চন্দননগর আদালতে স্বাক্ষ দিতে আসেন সোমনাথ। প্রেমিকাকে বিয়ে করার আক্রোশে আদালতের ভিতর ঢুকে সোমনাথকে গুলি করে খুন করে আরশাদ। মামলার সরকারি আইনজীবী গোপাল পাত্র ও গদাধর নন্দী বলেন, ২০১১ সালের ২২ ফেব্রয়ারীর ঘটনা। সোমনাথ স্বাক্ষি দিতে আদালতে ঢোকেন। পিছন পিছন ঢোকে আরশাদ। পকেট থেকে পিস্তল বের করে একটা গুলি স্বাক্ষির বুকের বাঁদিকে চালিয়ে দেয়। আদালতের নিরাপত্তারক্ষী আততায়ীকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে একটি চাইনিজ পিস্তল পাওয়া যায়। যার ভিতর দুই রাউন্ড গুলি ছিল। গুলিবিদ্ধ সোমনাথকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। ফরেনসিক তদন্ত ১৪ জনের স্বাক্ষ নেওয়ার পর অভিযুক্ত আরশাদকে ৩০৭ ও ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করে চন্দননগরের ফার্স্ট ফাস্ট ট্রাক আদালত। আজ তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়।