এই মুহূর্তে জেলা

গুজরাতে ব্রিজ বিপর্যয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধান পেতে নদীতে তল্লাশি।


সোজাসাপটা ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর:- একদিকে চলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট সফর আর মোদির সফরের মধ্যেই গুজরাতে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। গুজরাতে ব্রিজ বিপর্যয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু, আহত বহু। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই গুজরাতের মোরবিতে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। সন্ধে ৬.৩০টা নাগাদ ১৫০ জনকে নিয়ে মাচ্ছু নদীতে ভেঙে পড়ে কেবল ব্রিজ।কার গাফিলতিতে ব্রিজ বিপর্যয়? উঠছে প্রশ্ন। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই গুজরাতের মোরবিতে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। মেরামতির পর পুরসভার ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খোলা হয় ব্রিজ। ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কার নির্দেশে খোলা হয় ব্রিজ? প্রশ্ন বাসিন্দাদের। প্রসঙ্গত ১৮৭৯ সালে তৈরি কেবল ব্রিজ, মেরামতির জন্য বন্ধ ছিল ৭ মাস। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি খোলা হয় ব্রিজ, অভিযোগ কংগ্রেসের। অপরদিকে দুর্নীতির কারণেই ভেঙে পড়েছে ব্রিজ, অভিযোগ বিরোধীদের। গুজরাতে ব্রিজ বিপর্যয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি আম আদমি পার্টির।

গুজরাতের মাচ্ছু নদীর ওপর সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের। টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।ছটপুজোর সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা পরই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন। এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।