কলকাতা, ১ মে:- রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষানীতির রূপরেখা তৈরি করতে রাজ্য সরকারের গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটি আগামী সপ্তাহেই প্রথমবার বৈঠকে বসছে। কেন্দ্র সরকারের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে রাজ্য নিজস্ব শিক্ষানীতি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য শিক্ষা জগতের বিশিষ্টদের নিয়ে দশ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ মে ওই কমিটি আলোচনায় বসবে। সেখানে নয়া শিক্ষানীতিতে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র স্কুল নয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি সহ ১০ জন ওই কমিটিতে রয়েছেন। কেমন হবে সিলেবাস, কী ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে স্কুল কলেজে কোন পথে হবে পঠন-পাঠন তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছেএদিকে শিক্ষানীতি নিয়ে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে থাকার কথা রয়েছে অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক।
বৈঠকে থাকার কথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের। নিজস্ব নীতির একটি নীল নকশা তৈরি করবে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আগে থেকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি সহ ১০ জনকে। এই কমিটিতে আরও কয়েকজনকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু বদল এনেছে কেন্দ্র। ২০২০-র নয়া শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। সেই নীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একের পর এক গাইডলাইনও পাঠিয়ে চলেছে। কিন্তু সে সব গাইডলাইন মানতে চায় না রাজ্যের শিক্ষা মহলের একাংশ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, সিলেবাস কমিটির অভীক মজুমদার। ৮ টি পৃথক বিষয়ের জন্য আনা হয়েছে ৮ জন মেন্টরকে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও রয়েছেন সেই কমিটিতে। মেন্টর ছাড়াও প্রত্যেক বিষয়ের জন্য স্কুল থেকে একজন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।