সুদীপ দাস, ১৩ নভেম্বর:- মহানবমীর পুন্য তিথীতে চার কন্যা কুমারী রূপে পুজিত হলেন চুঁচুড়ার পালপুকুর উন্নয়ন সংঘে। এই পুজো ৩৫বছরে পদার্পন করল। নবমীর দিন সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। এলাকারই অনুর্দ্ধ ৭বছরের তিন জন এক ৯বছরের একজন কন্যা এখানে পুজিত হন। পুজোর সময়ে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক মানুষ। তবে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে কঠোরভাবে কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়েই নবমী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সকলেই ছিলেন মাস্ক পরে। ৭বছরের তিন কন্যা মালিনী নামে এবং ৯বছরের এক কন্যা শাস্ত্রীয় মতে কালসন্ধর্ভা নামে পুজিত হন। অভিভাবকরা এদিন নিজ নিজ কন্যার পদতলে বসে পুজো করেন। মা জগদ্ধাত্রীর সামনে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারনের মধ্য দিয়ে কুমারী কন্যাদের পা ধুইয়ে দেন অভিভাবকরা। শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে থেকে। গল্পে বর্ণিত রয়েছে,
কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিযে় দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। তবে কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। ব্রহ্মাণ্ডে যে ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সাধিত হচ্ছে সেই ত্রিবিধ শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। এ সাধন পদ্ধতিতে সাধকের নিকট বিশ্বজননী কুমারী নারীমূর্তির রূপ ধারণ করে! তাই তার নিকট নারী ভোগ্যা নয়, পূজ্যা। তাই বছরের পর বছর ধরে দেবী দুর্গা কিংবা কালী অথবা জগদ্ধাত্রী নারী শক্তি রূপে বহু পুজোতেই কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।









