মহেশ্বর চক্রবর্তী , ১৩ নভেম্বর:- জগদ্বাত্রী পুজোর নবমীর সকাল থেকেই দর্শনারথীদের ভিড় মন্ডপে মন্ডপে। হুগলি জেলার মধ্যে চন্দননগর ও খানাকুলের রাজহাটির পর আরামবাগের জগদ্বাত্রী পুজো বেশ জনপ্রিয়। আরামবাগ মহকুমা জুড়েও প্রচুর জগদ্ধাত্রী পূজা ধুমধাম সহকারে অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজা উপলক্ষে আরামবাগ শহরের হাজার হাজার দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে পূজামণ্ডপে। হুগলির আরামবাগ শহরেও বেশকিছু পুজো নজর কাড়ে। যা চোখে লাগার মত। জগদ্ধাত্রী পুজো মানে প্রথমেই ভেসে আসে চন্দননগরের নাম। যার সুনাম আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে গোটা ভারতবর্ষে। পিছিয়ে নেই আরামবাগ মহকুমাও। প্রথমেই বলতে হয় আরামবাগ বিশ্বদূত ক্লাবের পুজোর কথা। আরামবাগ বিশ্বদূত ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর শুভ উদ্বোধন করেন কোভিড যোদ্ধারা।এই ক্লাবের পুজো এবছর কোভিড নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুজোর শুভ উদ্বোধন হয় ষষ্ঠীর দিন। উদ্বোধন করেন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ক্লাবের পূজাটি অনুষ্ঠিত হয় হুগলির আরামবাগের পুরাতন সবজি বাজার সংলগ্ন আঢ্যপাড়ায়।মন্দিরের মধ্যে। এই ক্লাবের পুজো এবছর ৩৫ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পুজোর বাজেট প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
এই পুজোর বেশ কিছু নিয়ম-নীতি লক্ষ্য করা যায়। নবমীর দিন সকালে মায়ের মন্দিরের সামনে একটি ছাঁচি কুমড়ো, একটি কলা, একটি আঁখ, একটি গোড়া লেবু ও একটি গাছ সমেত আদা বলি দেওয়ার নিয়ম আছে। মন্দিরে প্রতিদিন নিত্য সেবা হয়ে থাকে।এই ক্লাবের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো। এই বছরে দুজন কুমারি পূজিত হয়।করোনা পরিস্থিতিতে কোনও শোভাযাত্রা না হলেও মন্দির প্রাঙ্গণে স্থানীয়দের নিয়ে কোভিড নিয়ম মেনে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাইরের কোন প্রতিযোগী এবছর অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানা গেছে। পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের সামনে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই ক্লাবের সহ-সম্পাদক অভিজিত দে বলেন, এবছর আমাদের পুজো করোনাবিধি মেন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের সামনে মাস্ক-স্যানিটাইজার রয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে তবে স্থানীয়দের নিয়ে। এবছর আমাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন করেছেন ‘কোভিভ যোদ্ধারা’।মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা পৃথিবী যেন করোনা মুক্ত হয়। সবমিলিয়ে নবমীর সকাল থেকে রাত্রি পযন্ত জগদ্বাত্রী পুজোর উৎসবে মাতলো বিদ্যুৎ ক্লাবসহ আরামবাগবাসী।