এই মুহূর্তে কলকাতা

বেশিরভাগ সমীক্ষাই বলছে বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।

কলকাতা, ২৯ এপ্রিল:- সব জল্পনা উড়িয়ে রাজ্যে ফের তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতবারের তুলনায় আসন সংখ্যা কমলেও ক্ষমতা দখলের মতো ম্যাজিক ফিগার অনায়াসে হাসিল করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ঘাসফুল শিবির ১৫২ থেকে ১৬৪ আসনে জিততে পারে বলে জানিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা ‘সি ভোটার। রাজ্যের ৪২ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপরেই ফের একবার আস্থা রেখেছেন। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি জিততে পারে ১০৯ থেকে ১২১ আসনে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জোট বাঁধলেও ফের একবার মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে বাম ও কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চা জিততে পারে ১৪ থেকে ২৫ আসনে। টাইমস নাও-সি ভোটারের জনমত সমীক্ষাও পশ্চিমবঙ্গের কুর্সি দখলে তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। টাইমস নাও-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, যে ২৯২ আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে ১৫৮ আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ঝুলিতে যেতে পারে।

বিজেপিকে ১১৫ আসন নিয়েই খুশি থাকতে হচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়ছে বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট। মাত্র ১৯ আসন যেতে পারে সংযুক্ত মোর্চার ঝুলিতে। রিপাবলিক টিভি-সিএনএক্সের জনমত সমীক্ষায় অবশ্য উল্টোচিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। রিপাবলিক-সিএনএক্সের জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি। পদ্ম শিবির জিততে পারে ১৩৮ থেকে ১৪৮ আসনে। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১২৮ থেকে ১৩২ আসন। বাম-কংগ্রেস জোট জিততে পারে ১১ থেকে ২১ আসন। আরও এক জনমত সমীক্ষা সংস্থা পোলস্টারও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। নিউজএক্স-পোলস্টারের জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারে ১৫২ থেকে ১৬২ আসনে। বিজেপি পেতে পারে ১১৫ থেকে ১২৫ আসন আর কংগ্রেস-বাম-আইএসএফ জোট জিততে পারে ১৬ থেকে ২৬ আসনে।

অর্থা‍ৎ বাম ও কংগ্রেসের সুবিধাবাদী জোটকে যে বঙ্গের মানুষ প্রত্যাখান করেছে তা স্পষ্ট প্রতীয়মান। বিজেপি পন্থী হিসেবে বরাবর পরিচিত এবং জনমত সমীক্ষায় লাগাতার ডাহা ফেল করা সমীক্ষক সংস্থা জন কি বাত-ও রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। জন কি বাতের সমীক্ষায় বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় আভাস দেওয়া হয়েছে, ভোট হওয়া ২৯২ আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে চলেছে ১৫০ থেকে ১৬২ আসন। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১১৮ থেকে ১৩৪ আসন। বাম-কংগ্রেস জোটকে ১০ থেকে ১৪ আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।