কলকাতা, ২৯ এপ্রিল:- করোনার সার্বিক টিকাকরণের কাজ শুরু করার আগে কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চাইলো রাজ্য সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে ১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত বয়সের রাজ্যের দেড় কোটি বাসিন্দাদের দুটি করে ডোজ দেওয়ার জন্য ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই ৩ কত ভ্যাকসিনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের জন্য ২ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন করা হয়েছে । বাকি ১ কোটি ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য।আগামী ১ মে থেকে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়েস তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। রাজ্যের বহু মানুষ এখনও ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পাননি।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, আগাম ৫ মে থেকে রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়েস হয়েছে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এদিকে রাজ্যে ভ্যাকসিনের যোগানে ঘাটতি রয়েছে। তাই ভ্যাকসিন দ্রেওয়া নিয়ে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি হয়, তাই পুলিশকে আগাম চিঠি দিয়ে রেখেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ।রাজ্যের বহু হাসপাতালে, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভোররাত থেকে ভ্যাকসিনের জন্য মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর মধ্যে বহু জায়গায় দেখা যায় লাইনে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের সবাই ভ্যাকসিন পেলেন না। সম্প্রতি কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে বহু মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে শেষে শুনেছেন ২০০ জনের বেশি মানুষকে ঐদিন ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। বাকি যারা লাইন দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের টোকেন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রবেশ দ্বারে নোটিস দিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতেই কেন্দ্রের কাছে টাকা দিয়ে রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখে ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের টাকায় কেন্দ্রের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে সেই ভ্যাকসিন রাজ্যের মানুষদের বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্যকে কেন্দ্র সেই চিঠির সঠিক জবাব দেয়নি বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। এদিকে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অব্যবহৃত ভ্যাকসিন রাজ্য সরকারের কাছে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি যাতে না হয় তাই কেন্দ্রের কাছে ৩ কোটি ভ্যাকসিন চাইলো কেন্দ্র।