হুগলি, ১৫ সেপ্টেম্বর:- আর চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে পুজো কমিটি গুলোকে নিয়ে এক সমন্বয়ে বৈঠক হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভাল গি,দুই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ও অসিত মজুমদার, চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সদর মহকুমা শাসক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল বিভাগ এবং পুলিশ আধিকারিকরা। মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের দেওয়া এক লক্ষ দশ হাজার টাকা অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয় পুজো কমিটি গুলিকে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত ১৭০০ এর বেশি দুর্গা পুজো এবার অনুদানের চেক পাবে। পুলিশ কমিশনার জানান, এর আগে শ্রীরামপুর উত্তরপাড়ায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছে।আজ চুঁচুড়ায় হল। পুজোর সময় ভিড় সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রয়োজন হবে। পুজোর প্যান্ডেলে ঢোকা বেরোনোর রাস্তা ঠিকমত আছে কিনা, সব নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে দেখছেন পুলিশ কমিশনার।
কমিশনার জানান, প্রতিবছরই হুগলিতে দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই একগুচ্ছ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে পুজো কমিটি গুলোকে। পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক থাকবে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের উইনারস টিম যেমন থাকবে পাশাপাশি সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ কর্মীরাও বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাবেন। প্রশাসন পুরসভার পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।রেল স্টেশনগুলো তো বাড়তি নজরদারি থাকবে। পুজোর দিনগুলোতে যাতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয় যদি কেউ নজর রাখা হবে।যেসব জায়গায় খুব ভিড় হয় সেখানে অটো এবং টোটো চলা চল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় নো এন্টি থাকবে। দুর্গা পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুত আছে। এদিন রবীন্দ্রভবনে পুজো গাইড ম্যাপ উদ্বোধন করা হয়।