এই মুহূর্তে জেলা

প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রূপচাঁদ পালের মূর্তি উদ্বোধনে চুঁচুড়ার বিধায়ক।

হুগলি, ১২ আগস্ট:- গতকাল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করে সৌজন্য দেখিয়েছেন। আজ সৌজন্য দেখালেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সিপিআইএম এর প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পালের মূর্তি উদ্বোধন করলেন তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বললেন,ওনার তৈরী প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হবে, এখানে রাজনীতি নেই। চুঁচুড়ায় হুগলি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। উদ্যেশ্য ছিল মফস্বলি ছেলেমেয়েদের বাড়ির কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া সেই কলেজে বর্তমানে প্রায় দের হাজার পড়ুয়া। অনেকে পাশ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। মেটা গুগলের মত সংস্থাতেও চাকরি পাচ্ছেন। এমন এক প্রতিষ্ঠানের ২১ বছর পূর্তি হল আজ। সেই উপলক্ষে প্রাক্তন সাংসদের আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়। সেই মূর্তির উদ্বোধন করলেন চুঁচুড়ার তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।

সিপিআইএম এর প্রাক্তন সাংসদের মূর্তি উদ্বোধন করছেন তৃনমূলের বিধায়ক, সাম্প্রতিক সময়ে এমনটা দেখা যায়নি। বিধায়ক বলেন, এই কলেজ চুঁচুড়ার গর্ব। বহু ছেলেম এখান থেকে পাস করে গিয়ে ভালো জায়গার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।এই কলেজ রূপচাঁদ পাল তৈরি করেছিলে। কলেজটা বাঁচলে রূপচাঁদ পালের স্মৃতি বাঁচবে। কলেজের ক্ষতি হলে ক্ষতি হবে চুঁচুড়ার। রূপচাঁদ পালের অবর্তমানে যাতে কলেজের কোন অসুবিধা না হয় তাই আমি এসেছি। রূপচাঁদ পাল শুধুই কলেজ করেছেন তা নয় তিনি একজন সাংসদ ছিলেন শুধু তাই নয় তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার হাতে তৈরি হয়েছে। এই শিক্ষককে সম্মান জানানো এবং এই শিক্ষা কেন্দ্রে মন জানাতে তার মূর্তি বসানো হয়েছে সেটা আজকে উন্মোচন করলাম।

এইসব কাজের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় হবে। রাজনীতি যখন হবে তখন রূপচাঁদ পাল ভালো মন্দ কি ছিল সেটা বলবো। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে দাঁড়িয়ে যেটা ওনার স্বপ্ন ছিল সেটাকে বাঁচিয়ে রাখা তাকে শ্রদ্ধা জানানো এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। উনি এর প্রতিষ্ঠাতা সেই সম্মানটা ওনাকে জানালাম। রূপচাঁদ পালের ভাইপো দেবাশীষ পাল বলেন, এই কলেজে ১৩০ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ কলেজের সঙ্গে যুক্ত। একটা সময় কলেজের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি। এই কলেজ যাতে ধ্বংসের পথে চলে না যায় তার জন্যই বিধায়কের সাহায্য চেয়েছি। যেহেতু উনি শাসকদলের একজন বিধায়ক তাই সরকারি কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে যাতে পাই সেটাও দেখছি। এই কলেজের শ্রী বৃদ্ধির জন্য আমরা সকলেই চেষ্টা করছি। নতুন কিছু কোর্স যাতে চালু করা যায়।