এই মুহূর্তে কলকাতা

ফুটবল প্রেমীদের উৎসাহ দিতে বিনামূল্যে ফুটবল বিলি রাজ্যের।

কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর:- গ্রাম বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের মাঠে নামায় উৎসাহ দিতে বিনামূল্যে গ্রামে গ্রামে ফুটবল বিলি করা হবে। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের মাধ্যমে এই ফুটবল বিলি করা হবে বলে জানা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় ফুটবলের সঙ্গে ভলিবলও বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের আওতায় থাকা রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টস নামক সংস্থা এই ফুটবল ও ভলিবল সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। একসময় ওপার বাংলা থেকে যাঁরা এখানে চলে এসেছিলেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার বন্দোবস্ত করে দিতে সরকারি উদ্যোগে শুরু হয়েছিল রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টস নামক সংস্থার পথ চলা। বাম আমলে সংস্থাটি মৃতপ্রায় হয়ে যায়। ক্ষমতায় এসে তাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থাটি চালানোর ভার তুলে দেন বাংলার প্রাক্তন তারকা ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, ক্রম্পটন দত্ত, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, নিমাই গোস্বামী এবং শান্তি মল্লিকের হাতে। পোশাক তৈরির পাশাপাশি ফুটবল ও ভলিবলও তৈরি করতে শুরু করে রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টস। মুখ্যমন্ত্রী সেই বলের নামকরণ করেন ‘জয়ী’।

গত কয়েক বছর ধরে ভালো ব্যবসা করেছে এই সংস্থা। জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে নানা ইউনিট। রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টসর তরফে ফুটবল ও ভলিবল তৈরির পাশাপাশি মহিলা শিল্পীদের দিয়ে পোশাক তৈরি করানোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সব বল ও পোষাক রাজ্য সরকার কিনে নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার চেয়ারম্যান মানস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘আমরা সংস্থাটিকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করতে পেরেছি। কাজ দিতে পেরেছি বহু মহিলাকে। বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের কাছ থেকে হরেকরকম হস্তশিল্প আমরা কিনছি ও বিক্রি করছি। পাশাপাশি সংস্থার তরফে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিনামূল্যে ফুটবল ও ভলিবল দেওয়া শুরু করেছি আমরা। পুরুলিয়া, শান্তিনিকেতন ও বাঁকুড়ার পর সম্প্রতি আমরা ঝাড়গ্রামে যাই। সেখানে টিয়াকাঠি, বাঁশতলা, নলবানা প্রভৃতি গ্রামে জয়ী বিতরণ করেছি। তবে সেসবের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের জন্য ধুতি, শাড়ি, কম্বল প্রভৃতি সরঞ্জামও নিয়ে গিয়েছিলাম। রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে এই উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। এর মূল কারণ নতুন প্রজন্মের মধ্যে খেলাধুলোর আগ্রহ বাড়িয়ে তোলা। গ্রামগুলিতে ঘুরে পুরুষদের পাশাপাশি যেভাবে মহিলা খেলোয়াড়দের উদ্দীপনা দেখেছি, তাতে আমরা অভিভূত।’