হুগলি, ২৬ এপ্রিল:- বর্তমান যা পরিস্থিতি সব বিরোধীদের বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করে দেখুন না! আগামী ছয় মাসে ভারত বর্ষ কোথায় যায়, চুঁচুড়ায় সভা থেকে বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশ্মীরে যা হয়েছে সব বিরোধী দল মিলে বলেছি আপনি ব্যবস্থা নিন আমরা পাশে থাকব। কিন্তু চারদিন পার হয়ে গেলো। ২৭ জন মারা গেলো কাশ্মীরে তার জন্য আমরা শোক স্তব্ধ কিন্তু কুম্ভ মেলায় ১০০ জন হিন্দু মারা গেলো কেন। পার্লামেন্টে আলোচনা চাই কিন্তু করতে দেওয়া হয়না। কোনো সেনসেটিভ বিষয়ে আলোচনা করতে দেয় না। ভারতবর্ষের অখন্ডতাকে বজায় রাখার জন্য সার্বভৌমত্বকে বজায় রাখতে আপনি মোদি জি ব্যবস্থা নিন।প্রতিশোধ নিন। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। মানুষের আস্থা হারিয়ে গেছে। নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে বলেন, মেজো ভাই হিন্দু মুসলমানে লড়াই লাগিয়ে রক্তের উপর দিয়ে গদি পেতে চাইছে। মানুষে মানুষে বিভেদ করে গদি পাওয়া যায়না। রাজা সবার রাজা হয়। সে কোনো ভেদাভেদ করেনা। ভারতবর্ষ সেক্যুলার সংবিধানে বলা আছে।
এখানে সব ধর্মের মানুষ থাকে। আর বলছে হিন্দু হিন্দু। সনাতন বলছে।সনাতন কারা, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্রের যারা নিরামিষ খায় তারা সনাতন। আর বাকিরা জালি হিন্দু ওদের মতে। আমরা বাঙালী হিন্দুরা তাহলে কি। আমরা মানুষের পাশে থাকি।বিরোধী দলনেতা ২৬ সালে বিরোধী দলনেতা হতে পারবেনা। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে নভেম্বর মাসে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐদিনই কাঁথিতে হরিনাম সংকীর্তন করতে হবে। ২০২৬ পর্যন্ত এরা এই প্রচেষ্টা চালাবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মুসলিম ভাইদের বলবো আপনারা ওয়াকফ বিল নিয়ে প্রতিবাদ করছেন করুন প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু কখনোই আইন হাতে তুলে নেবেন না। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। আজ চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে তৃণমূলের এক প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা সহ তৃনমূল নেতৃত্ব।