হুগলি, ৫ এপ্রিল:- চাকরি গেলেও স্কুলে পড়াতে আসছেন রিষড়া বিদ্যাপিঠের প্রাক্তন শিক্ষক! ১৯ জনের মধ্যে ১২ জনের চাকরি চলে গেছে, স্কুলের পঠন পাঠন কার্যত ভেন্টিলেশানে। স্কুলকে আইসিইউ থেকে বের করতে চাকরি যাওয়া শিক্ষকরাই ভরসা! রিষড়া বিদ্যাপিঠের ১৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জনের চাকরি চলে গেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। কিভাবে স্কুলের ক্লাস চলবে, কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এই সব ভেবে ও কিছু কুল কিনারা করতে পারছেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ছাত্রদের পড়ানোর জন্য স্কুলে এসেছেন ইংরেজি শিক্ষক দেবদত্ত বৈদ্য। তিনি প্রাক্তন সরকারী শিক্ষক। তবে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায় এর পর এক ঝটকায় শেষ হয়ে গিয়েছে জীবনের সব স্বপ্ন। শিক্ষক হিসাবে চাকরি না থাকলেও তিনি যে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা তিনি ভাবেন সেই কারণেই চাকরি চলে যাওয়ার পরেও পরের দিন স্কুলে আসেন পড়াতে। রিষড়া বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক রোশন মাল বলেন, কিছুই ভেবে উঠতে পারছি না। স্কুল তো ভেন্টিলেশনে চলে গেছে।
আই সিইউ-তে রয়েছে। কি করে কি হবে বাচ্চাদের কিভাবে পড়ানো হবে কারা পড়াবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। চাকরিহারা শিক্ষক দেবদত্ত বৈদ্য জানান, তিনি নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন। তিনি চাকরি হারা হয়েছেন। তিনি আর বেতন পাবেন না। টাকা সবার প্রয়োজন। তবে সব থেকে এখন যেটা প্রয়োজন স্কুলের পড়ুয়াদের কি হবে। স্কুলে যদি তিনি না আসেন তাহলে স্কুলের বাচ্চাদের পঠন-পাঠন শিকেয় উঠবে তাই স্কুলের বাচ্চাদের কথা ভেবে আজও স্কুলে পড়াতে এসেছেন সল্টলেক থেকে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক দেবদত্ত বৈদ্য। দেবদত্ত বাবুর মত আরো একজন এদিন স্কুলে আসেন পড়াতে। তবে তিনি প্রকাশ্যে আসতে চাননি। যোগ্যতার নিরিখে যারা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের কি দোষ ছিল, এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে চাকরি হারাদের মধ্যে।