এই মুহূর্তে জেলা

প্রায় একশ স্টল,বই বিক্রি পঞ্চাশ লাখ টাকা ছাড়াবে,আশা হুগলি চুঁচুড়া বই মেলা কমিটির।

হুগলি, ১২ ডিসেম্বর:- গত বছর বই বিক্রি হয়েছিল উনপঞ্চাশ লক্ষ টাকার। এবছর সেই লক্ষ্যমাত্রা পঞ্চাশ লাখ অতিক্রম করবে। আশা বইমেলা কমিটির।ধারে ভারে কলকাতা বইমেলার মত না হলেও মফস্বলি বইমেলা হিসাবে অন্যতম বইমেলা হয়ে ওঠার লক্ষে অনেকটাই এগিয়েছে হুগলি চুঁচুড়া বই মেলা। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া জ্যোতিষ ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করেছেন মেলার যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চাকি। এদিন তিনি জানান, বইয়ের স্টলের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। লিটিল ম্যাগাজিন ও নামি প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে এবছর মেলায় থাকছে ১২০ টি স্টল। স্বাভাবিক কারণেই এবছর বইয়ের বিক্রি বিগত সব বছরের তুলনায় বাড়বে কয়েক গুন।

প্রতিবছরের মত ৩ রা ডিসেম্বর “বইয়ের জন্য হাঁটুন”পদযাত্রা হয়েছে। শহরের বই প্রেমীরা অপেক্ষায় থকেন বারো মাসে চৌদ্দ পার্বনের জন্য। আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হতে চলেছে ১৬ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা। মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গোপাল বাবু জানিয়েছেন এবছর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ঠ সহিতিক উল্লাস মল্লিক, থাকবেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিনোদ ঘোষাল। এই বছর প্রকাশনা সংস্থা, লিটিল ম্যাগাজিন, স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানান বাণিজ্যিক স্টল থাকছে মেলায়। এবছর মেলায় থাকছে সদ্য প্রয়াত কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী স্মরণে লিটিল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন এবং মেলার আর্ট গ্যালারিটি হচ্ছে মৌ রায়চৌধুরী স্মরণে। একইসঙ্গে প্রতিদিনের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ বসু শতবর্ষ সভাঘরে।

মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে ৬২ জন ছাত্র ছাত্রীকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া ৩ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য থাকছে জনপ্রিয় হৈচৈ অনুষ্ঠান। বাংলা বইয়ের বিক্রি বাড়াতে বইমেলা কতৃপক্ষের তরফে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন প্রত্যেকদিন, প্রথম ১০ জন বাংলা বই ক্রেতাকে মেলা কতৃপক্ষের তরফে পাঁচশ টাকার বই কিনলে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মেলার সভাঘরে চলবে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা। বসবে স্বরচিত কবিতা এবং গল্প পাঠের আসর। মেলার চলাকালীন প্রতিদিন মেলার মূল মঞ্চে থাকবে আমন্ত্রিত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বই মেলায় মূলমঞ্চটি হবে চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের নামে।