কলকাতা, ২৫ নভেম্বর:- সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ২২ জন আমন্ত্রিত। উল্লেখযোগ্য ভাবে সুখেন্দুশেখর রায় ডাক পাননি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। আর জি করের ঘটনার সময় বেশ কিছু বিষয়ে দলের প্রশাসনিক কর্মপদ্ধতি নিয়ে খুলেছিলেন সুখেন্দুশেখর। তারপর থেকেই দল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এ দিনের বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলায় জোর দিয়েছে তৃণমূল। একের বদলে তিন শৃঙ্খলারক্ষাকমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শো-কজ নিয়ে এবার করা হয়েছে শাসক দল। ঠিক হয়েছে তিন শো-কজে জবাবে অসন্তুষ্ট হলেই সাসপেন্ড করা হবে উক্ত নেতাকে। একই সঙ্গে মহিলা সংগঠনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এবার ‘অপরাজিতা’ আইন দ্রুত গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
সংসদের নেতা সংসদে আছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাদিমুল হক। বিধানসভায় বিধানসভায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল মাজি, অরুপ রায়, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমার নেতৃত্ব দেবে বলে ঠিক হয়েছে। মুখপাত্র হিসেবে দিল্লিতে বলবেন, দিল্লিতে বলবেন অভিষেক, ডেরেক, কাকলি, কীর্তি আজাদ ,সুস্মিতা দেব ও সাগরিকা ঘোষ। দলের মুখপাত্র হলেন মুখপাত্র-অমিত মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প নিয়ে বলবেন শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক উত্তরবঙ্গ বিষয়ে – গৌতম দেব, প্রকাশ চিক বরাইক, উদয়ন গুহ। চা-বাগান নিয়ে মলয় ঘটক এবং ঝাড়গ্রাম নিয়ে বলবেন বীরবাহা হাঁসদা। এছাড়া কুণাল ঘোষ, মানস ভুইয়া, শোভনদেব চ্যাটার্জি, চন্দ্রিমা, শশী পাঁজা, সুমন কাঞ্জিলাল বাংলার সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য করবেন।