হুগলি, ১৩ আগস্ট:- চুঁচুড়া পিপুলপাতিতে ভারত মাতা পুজোয় এসে বিজেপি প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ আর জি কর নিয়ে বলেন, সিপিএমের আমলে তবু একটা ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয়ের। সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু যে জঘন্য কাজ করেছিল তার জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিলেন ফাঁসি হবে। আগে ধরুন তবে তো ফাঁসি। একটা মাতাল কে ধরে দেখিয়ে দিল। শুরু হয়েছিল কামদুনিতে তারপর বিভিন্ন জায়গায় নারীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। একটারও ফাঁসি হয়েছে? প্রতি মাসে মহিলা কমিশনের লোকেরা দেখতে আসে, কেন আসে? সিবিআইকে ডাকা হয়েছে সেখানেও বলছে সিবিআই কিছু ধরতে পারে না। সিবিআই পারুক না পারুক কেন সিবিআইকে ডাকা হচ্ছে।তার মানে আপনার পুলিশের উপর ভরসা নেই। একটা সাধারণ বাড়ির ছেলেমেয়েকে ডাক্তারি পড়াতে সর্বস্ব চলে যায়।
সে পাশ করার পর ডাক্তার হওয়ার পর যদি তার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে বাবা মার উপর দিয়ে কি যায়, সমাজ কি চোখে দেখবে। সমাজ হতাশায় ভুগছে, অসুরক্ষায় ভুগছে। মহিলা ডাক্তাররা সুরক্ষায় ভুগছে। হায়দ্রাবাদে একটা নার্সের সঙ্গে এরকম হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাদের অ্যারেস্ট করেছিল। তারা পালাতে গেলে পুলিশ তাদের গুলি করে মেরেছিল। দিল্লিতে হয়েছিল ঘটনা।শক হয়েছিল সবাই। আর এখানে যে ঘটনা ঘটেছে একজন মাতালকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। আসল লোককে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাপের যদি বিচার না হওয়ায় যারা আড়াল করছেন তাদেরও পাপের ফল ভোগ করতে হবে। তাই একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে সবাই প্রতিবাদ করছে। বলছে রাজনীতি হচ্ছে। একটা সিভিক পুলিশ সে মাতাল সে পুলিশের নেতা। পুলিশের বাড়ি ব্যবহার করছে। সে হয়ত মদ খেয়ে পড়েছিল কিছুই জানে না। তাকে ধরা হয়েছে। কারা করেছে? সব জানা আছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। না হলে পশ্চিমবঙ্গ আফগানিস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো হয়ে যাবে।