হুগলি, ৩০ জুন:- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে হাওড়া ও হুগলী জেলার সংযোগস্থলে নৌকা করে চলছে দিনের আলোয় বালি তোলা এবং সেই বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে উত্তরপাড়া মাখলা এলাকার ইট ভাটা গুলিতে!অভিযোগ স্থানীয়দের,দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের. সম্প্রতি একাধিক প্রশাসনিক সভায় নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলা এবং বেআইনি বালি খাদান চালানো, ওভারলোডিং এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ এবং প্রশাসনিক স্তরে বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন ব্যবস্থা গ্রহণের। নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার সংবাদ একাধিকবার সম্প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তারপরেও হুগলি এবং হাওড়া জেলা সংলগ্ন বালিখাল, উত্তরপাড়া অঞ্চলে প্রকাশ্যে গঙ্গা থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তুলে নেওয়া হচ্ছে গঙ্গার বালি। সেই বালি বিক্রি হচ্ছে উত্তরপাড়া মাখলা, বালি অঞ্চলের একাধিক ইটভাটায়। এরমধ্যেই গত ছয় মাসে উত্তরপাড়া থেকে কোন্নগর এলাকায় স্নান করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে বেশ কিছু মানুষ।
বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং স্থানীয় মানুষের অভিযোগ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি তোলার কারণে উত্তর পাড়া কোন্নগর অঞ্চলে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ঘটছে, নদীতে তৈরি হচ্ছে ঘূর্নি। যার ফলেই গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাচ্ছে, নিরাপরাধ মানুষ। সংবাদ মাধ্যম বারংবার এই গঙ্গা থেকে বালি চুরির সংবাদ সম্প্রচারিত করলেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার সরব হলেও অজানা কারণে উদাসীন পুলিশ থেকে স্থানীয় প্রশাসন। উত্তরপাড়া বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার বিষয়ে কিছু জানেন না। আর বিরোধীরা মানুষের মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। তবে স্থানীয় মানুষের প্রশ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেন অবৈধভাবে নদীর বালি তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা প্রশাসন। আর কতদিন এইভাবে বালি মাফিয়াদের মুনাফার কারণে নদীতে স্নান করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।