এই মুহূর্তে জেলা

পুর প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র ভৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর।হুগলির প্রতিনিধিরা শুনলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

হুগলি, ২৪ জুন:- লোকসভা নির্বাচন মেটার পর পুর পরিষেবা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসে।লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় প্রায় সত্তরটি পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃনমূল। এর আগে সরকারি জমি বেদখল নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আজ নবান্নে পুরসভা ও কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মেয়রদের প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী।ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। সেই বৈঠকে নজির বিহীন ভাবে পুর প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাদের ভৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে সেই বৈঠক ভাচুয়ালী উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।হুগলি জেলার ১২ টি পুরসভা ও একটি কর্পোরেশনের তৃনমূল কাউন্সিলররা।

ছিলেন হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য,চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারীকরা। চন্দননগরের মেয়র ও চেয়ারম্যানরা ছিলেন নবান্নে।বাকি কাউন্সিলর চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেন কোন পুরসভা ভালো ও খারাপ কাজ করেছে।সেই সূচকে পরিচ্ছন্নতায় উত্তরপাড়া পুরসভা জায়গা পায়। পরিচ্ছন্নতা ও পানীয় জলে ভালো কাজ করেছে বৈদ্যবাটি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা শুনে খুশি উত্তরপাড়ার শহর তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ।তিনি উত্তরপাড়ার কাউন্সিরও বটে।ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে উত্তরপাড়া পৌরসভা ভালো কাজ করছে।

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা প্লাস্টিককে রিসাইক্লিং করে আবার বাজারজাত করছি। মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন খুব ভালো লাগছে। আরামবাগ ও তারকেশ্বর পুরসভা বর্জ্য ব্যবস্থা পনার জন্য জায়গা দিতে পারেনি।তার কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।আরামবাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বর্তমান কাউন্সিলর স্বপন নন্দী বলেন,আমাদের জায়গার সমস্যা আছে সেটা খুব শীঘ্রই মিটে যাবে। রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান বলেন,কিছু জায়গায় খামতি আছে মুখ্যমন্ত্রী যেমন নির্দেশ দিয়েছেন সেই অনুযায়ী কাজ হবে। চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল বলেন,মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের জন্য আরো ভালোভাবে কাজ করতে।দিদির ভালোবাসাটাই কড়া ভাষা।এত ভালো জয়ের পরেও দিদি বকেছে মানে আমাদের উপর ওনার আস্থা আছে।