এই মুহূর্তে জেলা

মধ্যযুগীয় স্বাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পাকলার আদলে তৈরি হয়েছে খাটুলের বাবা বিরিঞ্চিনাথের মন্দির।

হুগলি , ৩ মে:- হুগলি জেলার একটি প্রত্যন্ত জনপদ হলো গোঘাটের খাটুল।এই প্রাচীন জনপদে গড়ে উঠেছে স্বয়ংভু দেবাদিদেব মহাদেবের মন্দির।মধ্যযুগীয় স্বাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পাকলার আদলে তৈরি হয়েছে খাটুলের বাবা বিরিঞ্চিনাথের মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহের প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুট গর্তের মধ্যে বাবা শিবের অবস্থান। করোনা পরিস্থিতিতে নির্জনতা যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে বাবা বিরিঞ্চিনাথের মন্দির। তবে এই বাবা বিরিঞ্চিনাথের মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। কথিত আছে প্রায় চারশো বছর আগে বাবা বুড়ো শিব ভুগর্ভ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। গ্রামের মানুষ শিবের আবির্ভাব দেখে হতোবাক হয়ে যান। গ্রামের মোড়োলের নির্দেশ গ্রাম ষোলোআনা শিবের পুজোপাঠ শুরু হয়। নিত্য পুজো হলেও প্রাচীন কালে বারো বছর অন্তর শিবের গাজন হতো।

বর্তমানে কালের পরিবর্তনের পাশাপাশি গাজনেরও রীতিনীতির পরিবর্তন হয়। এই বিষয়ে গ্রামের প্রবীন মানুষ নিত্যানন্দ চৌধুরী জানান, বাবা বিরিঞ্চিনাথের আগে বারো বছর অন্তর গাজন হলেও বর্তমানে ইচ্ছা গাজনে পরিবর্তিত হয়েছে। বাবা শিবের কৃপায় গ্রামের কোনও মানুষের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলে তিনি গ্রাম ষোলাআনার কাছে গাজন হবার প্রস্তাব দেন। সেই বিষয়ে গ্রামের মানুষ বিবেচনা করে গাজনের আয়োজন করে। জানা গিয়েছে গাজন চলা কালিন প্রাচীন কালে এক সন্ন্যাসী ঠাকুরের মৃত্যু হয়। তাই মন্দির সংলগ্ন স্থানে তার সমাধিস্থ করা হয়। সেখানেও গ্রামের মানুষ ভক্তিভরে ফুল ও ধুপ দিয়ে আরাধনা করেন। এই প্রাচীন ঐতিহ্য পুর্ন শিব মন্দির প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব নন্দী ও মন্দির কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ গুপ্ত, সুশীল নন্দী,সম্পাদক চঞ্চল কুমার দাস ও অনুপ কুমার দাস জানান, বহু প্রাচীন এই শিব মন্দিরের পুজোপাঠ একই রীতি মেনে হয়ে আসছে। আমাদের পুর্ব পুরুষের আমলেও এই ভূগর্ভস্থ্য শিল যেমন ছিলো এখনও তাই আছে।মন্দির সংস্কার হলেও রীতিনীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।