এই মুহূর্তে জেলা

রামনবমীতে সতর্ক পুলিশ, অশান্তি রুখতে একাধিক ব্যবস্থা।


হুগলি, ১৬ এপ্রিল:- রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে অশান্তি হয়েছিল গতবার। দোকান পাট ভাঙচুর, আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে আক্রান্ত হয়েছিলেন অনেকেই। রেল গেট ভেঙে আগুন দেওয়ায় বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। রাজ্যপাল ঘটনার সরেজমিনে রিষড়ায় আসেন। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয় আদালতের নির্দেশে। এবার চন্দননগর পুলিশ রিষড়ার সেই রামনবমীর রুট পরিবর্তন করতে বলেছিল উদ্যোক্তাদের। বাঙুরপার্ক থেকে শুরু করে এন এস রোড হয়ে জিটি রোড, মৈত্রী পথের সামনে দিয়ে মাহেশ পর্যন্ত প্রায় সারে তিন কিমি যে রুট থাকে সেটা পরিবর্তন করে রিষড়া রেল লাইন বরাবর চার নম্বর গেট হয়ে মাহেশে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পুলিশ।

উদ্যোক্তারা তা না মেনে হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট পুরোনো রুটেই শোভাযাত্রার অনুমতি দেয় কয়েকটি শর্তে। শোভাযাত্রা ২ টোয় শুরু করে পাঁচটার মধ্যে শেষ করা, দু শো জনের বেশি শোভাযাত্রায় থাকবে না। যে এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা যাবে সেখানে সিসি ক্যামেরা, হ্যান্ডিক্যাম, বডি ক্যামেরা ও ড্রোনে নজর দারী চালানো। প্রত্যেক শোভাযাত্রার মিছিলে কুড়ি জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে। কুড়িটির বেশি গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না।কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় সাতটি থানাতে একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয়। রিষড়ার পাশাপাশি শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর ও চুঁচুড়া থানা এলাকায় ১৭-২১ তারিখ এই শোভাযাত্রা গুলি হবে।মাঝে শুক্রবার শোভাযাত্রা হবে না।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশ মত সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে আধা সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তায় কাজে লাগানো যাবে। সেই মত রামনবমীর আগে থেকে স্পর্শ কাতর এলাকা গুলোতে পুলিশ টহল দেয়।বাহিনীও রুটমার্চ করে।যে কোনো রকম অশান্তি এড়াতে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের পাশাপাশি হুগলি গ্রামীন এলাকাতেও হয় রামনবমীর শোভাযাত্রা।সেখানেও পুলিশ সতর্কতা নিয়েছে। রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে যাতে কোনো অশান্তি না হয় তার জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।