এই মুহূর্তে জেলা

কোন মহিলাকে নিয়ে মিম হলে ব্যক্তিগত আমার ভালো লাগেনা-লকেট।


হুগলি, ১৪ এপ্রিল:- রচনা আমার বন্ধু ওকে নিয়ে মিম হতে দেখে খারাপ লাগে। তবে বিষয়টাকে হালকা ভাবে নেওয়াই ভালো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয় বিরোধী রাজনীতিক নন তবে তিনি লড়াই করেছেন তারমত আর কেউ আসেনি। শনিবার সন্ধায় সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপচারিতা বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধু সিনেমা জগতের সতীর্থ। এক সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দশ বছর অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়েছেন লকেট।রচনাও অভিনয় ছেড়েছেন। তবে তিনি এখনো টেলিভিশন শো করেন। হুগলিতে সেই দুই বন্ধুর লড়াই এবার জমজমাট। রচনা রাজনীতিতে নবীন তাই রাজনীকদের মত কথা এখনো বলতে শেখেননি। তুলনায় লকেট অনেক বেশি পরিনত। রচনার এক একটা বক্তব্য নিয়ে মিম তৈরী হতে সময় লাগছে না। কখনো তার শিল্প হয়েছে বলতে ধোঁয়া ধোঁয়া বলা হোক অথবা সিঙ্গুরের ঘাস খাওয়া গরুর দুধে তৈরী দই ভালো বলা হোক, প্রচারে বেরিয়ে গরম ঘুগনি খেয়ে তার তারিফ করা সব নিয়েই মিম হয়েছে।

সেই প্রসঙ্গে এদিন লকেট বলেন, কোনো মহিলাকে নিয়ে মিম হলে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার ভালো লাগে না।ও আমার বন্ধু তাই খারাপ লাগে তবে এসবকে হালকা ভাবে নেওয়াই ভালো। রচনা অবশ্য হালকা ভাবেই নিয়েছেন তাকে মিম হওয়ায়। তিনিও জানিয়েছেন তার বেশ ভালোই লাগে। ছেলেকেও দেখিয়ে বলেছেন যারা মিম করে কত প্রতিভাবান দেখ। বিরোধী দলের কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব তার প্রিয় এ প্রশ্নে লকেট বলেন, প্রিয় বলব না।তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। উনি লড়াইটা করেছিলেন। তারপর এরকম লড়াই এ আর কেউ নেই। বাকিরা যারা এসেছেন সব ওনার নাম করে। লড়াইটা কেউ করেনি।ওনাকে আমি ফেভারিট বলব না তবে আমি একজন মহিলা তাই জানি। তবে উনি যেটা ভেবে লড়াই করেছিলেন পরে ওনার লাইনটা ঘুরে গেছে হয়ত ওনার পরিবারের জন্য। প্রাধান্য বদলে গেছে।মহিলাদের প্রাধান্য দিতে এসেছিলেন কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে মহিলারা।