এই মুহূর্তে কলকাতা

১৩ই মার্চের পরই নির্ঘণ্ট প্রকাশ: কমিশন।

কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি:- তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর দিল্লি ফিরে সবদিক বিচার করে তারপরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্টা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এমনটাই খবর জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এখনো পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে দেশের সব প্রান্তের পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। আগামী ৩রা মার্চ তিনদিনের সফরে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। স্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দল, সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার, নোডাল অফিসার, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিক, দেশের সব এজেন্সি, রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ডিজি, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেই বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগালে একেবারেই মসৃণ ভাবে পরিচালনা করা যাবে লোকসভা নির্বাচন।

জাতির নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গিয়েছে সেই মোতাবেক নির্ঘণ্টা প্রকাশের অনেক আগেই এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে আর সেই মোতাবেক ১লা মার্চ ১০০ কোম্পানি এবং ৭ই মার্চ ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই রাজ্যে আসছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়বেন তাঁরা। মানুষের মধ্যে একদিকে ভয় কাটানো, সাহস যোগানো, থেকে শুরু করে এলাকায় রোড মার্চ করার পাশাপাশি এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করবেন। ইতিমধ্যেই বাজারে নির্ঘন্ট প্রকাশ নিয়ে অনেক ভূয়ো খবর ছড়িয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর থেকে এক্স হ্যান্ডেলের টুইট করে জানানো হয়েছে এটা সম্পূর্ণ ফেক। দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন সকলের মধ্যে উদ্দীপনার পারদ চড়ছে। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই এখন তাকিয়ে আছেন দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দিকে। আর সবকিছুর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ ই মার্চের পর নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় একটাই অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কি ভূমিকা পালন করে এবং কতটা তৎপর হয়।