হুগলি, ১৭ ফেব্রুয়ারি:- প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল দাদপুরের মহেশ্বরপুরের টায়ার ব্যবসায়ীর।তার দোকানে টায়ারের কাজ করাতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয়েছিল দুজনের। শেখ সিকান্দার আলীকে গ্রেফতার করে খুনের কিনারা করল হুগলি গ্রামীন পুলিশ। পুলিশি হেফাজেতে চেয়ে অভিযুক্তকে আজ চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় দাদপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মহম্মদ নবী আলম আনসারী (৩৯) ওরফে ছোটু। আদি বাড়ি বিহারের মজফরপুরে। হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুর এলাকায় টায়ারের ব্যবসা করতেন দীর্ঘ দিন ধরে। অভিযুক্ত শেখ সিকান্দার আলীর বাড়ি দাদপুরের পুইনান এলাকায়, সে পেশায় গাড়ি চালক। হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, গত ১১ই ফেব্রুয়ারি দাদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে টায়ার ব্যবসায়ী ছোটু মহেশ্বরপুরে তার নিজের দোকানে মৃত অবস্থায় পরে আছেন। মৃত দেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। দোকান থেকে ছোটুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দোকানের ম্যানেজার দাদপুর থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।এর পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পর ব্যবসায়ীর মারুতি গাড়ি ও মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মৃত দেহ উদ্ধারের সময় দেহের পাশে পরে থাকা একটি চিরকুট পায় পুলিশ যাতে তিনটি মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। সেই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর পরই খোঁজ মেলে শেখ সিকান্দার আলীর। গত কাল রাতে হাওড়ার সালিমারে রেলওয়ে সাইডিং থেকে শেখ সিকান্দার আলী কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পুলিশ জানতে পারে সিকান্দার আলীর দুটি বিবাহ। প্রথম পক্ষের স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতেন না। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথেই অবৈধ সম্পর্ক ছোটুর। অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি শেখ সিকান্দার আলী।এনিয়ে ছোটুর সঙ্গে বিবাদও চলছিল। টায়ার ব্যবসায়ীকে খুনের পরিকল্পনা করে শেখ সিকান্দার আলী। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি দুজনে এক সঙ্গে মদ্যপান করেন। এরপর গলা টিপে খুন করেন। খুনের পর ব্যবসায়ীর গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় শেখ সিকান্দার আলী। হরিপালের অলিপুর এলাকা থেকে মহম্মদ গাড়িটি উদ্ধার করলেও মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার হয়নি। পুলিশ আধিকারিক জানান আজ পুলিশি হেফাজতে চেয়ে শেখ সিকান্দার আলীকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।