এই মুহূর্তে জেলা

পুরোনো ফেরি ঘাটের পাশেই নতুন ফেরি ঘাট চুঁচুড়ায়।


হুগলি, ৭ ফেব্রুয়ারি:- আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল চুঁচুড়ার নব নির্মিত গ্যাংওয়ে ও পন্টন জেটি ঘাটের। বুধবার হাওড়া জেলার প্রশাসনিক সভা থেকে ফেরিঘাটের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রীদের চাপ কমাতে চুঁচুড়া লঞ্চ ঘাটের পাশেই তৈরী করা হয়েছে অত্যাধুনিক এই জেটি। ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ব্যায়ে এই ফেরি ঘাট তৈরী হয়েছে। যেখানে যাত্রীদের আধুনিক পরিষেবা প্রদানের জন্য অটোমেটিক মেশিন বসানো হয়েছে। যেখানে টিকিটে থাকবে কিউ আর কোড।সেই কিউ আর কোড স্ক্যান করিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। যারা মান্থলি কেটে যাতায়াত করবেন তাদের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড। সেই স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রী সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে, রয়েছে বসার জায়গা, বৃষ্টিতে যাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয়েছে ঘাটে। এক কথায় আধুনিক করা হয়েছে এই ফেরিঘাটকে। এছাড়াও চুঁচুড়া নৈহাটি ফেরি সার্ভিসের জন্য নতুন একটি লঞ্চ দিয়েছে পরিবহন দপ্তর।

নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগণার সঙ্গে হুগলি সংযোগকারী ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর অবস্থা খারাপ।কবে নতুন সেতু চালু হবে তারও এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটাই থমকে যাচ্ছে। চারচাকা বা দু চাকা গাড়ি যাতে ভেসেলের মাধ্যমে পারাপার করা যায় তারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান চুঁচুড়ার পুর প্রধান অমিত রায়।হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অন্তর্গত হুগলী ফেরি ঘাট,তামলি পাড়া ফেরি ঘাট এবং চাঁদনী ঘাটের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। চুঁচুড়ার ফেরিঘাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। অন্যদিকে এদিন শেওড়াফুলির দু পয়সার ফেরিঘাটের নবনির্মিত ফেরি সার্ভিস ও শেওড়াফুলি কানাই দেওয়ান ফেরিঘাটের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। শেওড়াফুলিতে ফেরিঘাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন, বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো।