এই মুহূর্তে কলকাতা

মেট্রোরেল সম্প্রসারণে জটিলতা অব্যাহত।

কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি:- জোকা-ধর্মতলা ও দক্ষিণেশ্বর-ব্যারাকপুর মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সম্প্রতি জোকা- ধর্মতলায় মেট্রো প্রকল্পের জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জমি চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে রাজ্যের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের একাংশ ভেঙে দেবার আবেদন জানিয়ে রাজ্যকে রেল ফের চিঠি দিয়েছে। যদিও এই দুই ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জন গেছে। কোনভাবেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙতে দেওয়া যাবে না বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। প্রয়োজনে ওই স্কাই ওয়াকের ওপর দিয়ে মেট্রো রেলের লাইন নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বডিগার্ড লাইনসের জমিও রেলকে দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে। বিকল্প হিসেবে নবান্নের বক্তব্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের ওপর দিয়ে লাইন নিয়ে যাক রেল। অন্যদিকে বডিগার্ড লাইনসের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রেলের বক্তব্য তারা নতুন বিল্ডিং করে দেবেন পুলিশের জন্য।

সে কথা মানতে নারাজ রাজ্য।তাদের বক্তব্য বডিগার্ড লাইনস এর পাশেই রয়েছে সেন্ট থমাস স্কুল। তাদের প্রচুর জমি রয়েছে। এমনকি আর্মির জমি রয়েছে বডিগার্ড লাইনস এর পাশে। সেখান দিয়েই জোকা মেট্রোর জন্য লাইন নিয়ে যাক রেল। সূত্রের খবর, রেলের এই জমির দাবি নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, “কেন দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙা হবে? প্রয়োজন হলে ওরা রুট ঘুরিয়ে নিক। আমরা এইসব ভাঙতে দেব না। কেন হেরিটেজের উপর আঘাত হবে?” প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য জমি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিল রেল। রেল সূত্রে জন গেছে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোয় রেক ঘোরানোর জায়গা নেই। ফলে ডাউন প্ল্যাটফর্মে যাত্রী নামিয়ে রেল ফের নিয়ে আসতে হয় বরানগরের দিকে। সেখান থেকে লাইন বদল করে আপ লাইনে যেতে হয়। তারপর যাত্রী নিয়ে দমদমের উদ্দেশ্য মেট্রো ছাড়ে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। সেকারণেই রাজ্য সরকারের কাছে ৮০ মিটার জমি চাওয়া হয়। যদিও দ্বিতীয় চিঠিতে রেল জানিয়েছে, ৮০ মিটারের বদলে ৬০ মিটার জমি হলেও চলবে।