হুগলি, ১৬ জানুয়ারি:- ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য বিভিন্ন স্কুলে বৈদ্যুতিক কাজ করেছিলেন বিদ্যুৎ এর ঠিকাদাররা। নির্বাচনের দিন বুথে আলো পাখা থেকে গণনা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ এর কাজ করেছিলেন তারা। প্রায় সাত কোটি টাকার কাজ হলেও এক টাকাও পাননি তারা। এছাড়া পঞ্চায়েত ভোটের প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাজ করেছেন ঠিকাদাররা। সেই টাকাও বাকি। এমন অবস্থায় জেলার ১৬ জন অনুমোদিত ঠিকাদার চরম বিপাকে পরেছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করা প্রায় এক হাজার জন শ্রমিকও বেকায়দায় পরেছেন। যদি টাকা না পান লোকসভা ভোটে কাজ করতে পারবেন না বৈদ্যুতিক কাজের ঠিকাদাররা। হুগলি জেলা পূর্ত ভবনে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে বকেয়া টাকার দাবীতে আজ স্মারক লিপি জমা দেন ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ হুগলি ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাকটরস এর সদস্যরা। প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সৌম সরকার বলেন, বিধানসভা ভোটের সময় টেন্ডার করে আমরা কাজ পেয়েছিলাম। মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য যা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সব করেছি প্রশাসনের নির্দেশ মত।
এছাড়া নির্বাচনের অন্যান্য কাজও করেছি। লোডশেডিং হলে তার জন্য ডিজেল জেনারেটরও রাখা হয়েছিল। এতজন শ্রমিক কাজ করেছে তাদের পেমেন্ট করেছি আমরা। অনেকেরই ধারদেনা হয়ে গেছে। ২১ সালের কাজ ২৪ সাল হয়ে গেল এখনো এক টাকাও পাইনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে একাধিক বার জানিয়েছি। সুরাহা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি।লোকসভা ভোট আর কয়েকমাস পরেই। সেখানেও কি করে কাজ করব জানিনা। আরেক ঠিকাদার শেখর চন্দ বলেন, আগামী দিনে টেন্ডারে অংশ নিতে পারব না। পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হুগলি ইলেকট্রিক্যাল দেবপ্রসাদ সামন্ত বলেন, আমাদের দপ্তরে আমি রিপোর্ট পাঠিয়েছি। বিধানসভা ভোটের কত টাকা বকেয়া আছে সেটা না দিলে আমি পেমেন্ট করতে পারছি না। যতক্ষণ না ফান্ড দিচ্ছে আমি বলতে পারব না কবে পেমেন্ট হবে। আমি আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানাবো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। বিধানসভা ভোটে বিদ্যুৎ এর কাজ করেছিলেন এমন রাজ্যের প্রায় সব জেলার ঠিকাদারদের পাওয়া ২৩০ কোটি টাকা। আজ হুগলি সহ মোট বারোটি জেলায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে দাবী জানানো হয়।