এই মুহূর্তে জেলা

রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে চুঁচুড়ায় পুজো ও যজ্ঞ করলেন সাংসদ লকেট।

হুগলি, ১৫ জানুয়ারি:- রাম মন্দির উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে চুঁচুুড়া ষন্ডেশ্বর মন্দিরে পুজো যজ্ঞ করলেন হুগলি সাংসদ। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি নেতা কর্মিদের নিয়ে সকালে ষন্ডেশ্বরতলা মন্দিরে আসেন। পুজো করেন।পুজো শেষে গঙ্গার ঘাটে শান্তি কল্যাণ যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। সাংসদ বলেন, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ২২ শে জানুয়ারী, মকর সংক্রান্তির মত পবিত্র দিনে যজ্ঞ করলাম। রামের আশির্বাদ সবার মাথায় থাকুক। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব পাঁচশ বছর পর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। সারা ভারতবর্ষ সনাতনী চিন্তা ভাবনার দিকে ঝুঁকেছে। আমরা মনে করি অশুভ শক্তিকে বিদায় করে শুভশক্তিকে নিয়ে আসতে পারব।

রাম সবার, আমরা প্রত্যেকে বলি সবার মধ্যে ঈশ্বর আছে। শঙ্করাচার্যের নত যারা বলছেন এর মধ্যে রাজনীতি আছে তারা যেন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত না হন। আমরা চাইব তৃনমূলও আসুক। তাদের যদি না ইচ্ছা করে তারা যদি রাম নাম শুনলেই কেউ পালিয়ে যায়,জয় শ্রীরাম শুনলে মনে করে খারাপ শব্দ তাদের কাছে তো এটা মনেই হবে একটা মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে এত উদগ্রীবতা কেন। ভারতের সাধুরা সনাতন ধর্মের প্রচার করে গেছেন। আমাদের শিকর আমাদের ভিতরে রয়েছে। সেগুলোকে আরও বেশি করে অনুভব করা উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।মনে রাখতে ধর্ম শুধু ধর্মের জন্য না ধর্ম মানে সেবা।ধর্ম মানে মানুষকে প্রকৃতভাবে সেবা করতে পারবো।

এবার থেকে এগিয়ে যাব এবং আমাদের বিচারধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় আইএসএফ এর রুট মার্চ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে লকেট বলেন,সন্দেশখালি তে শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে যেভাবে ইডি সিআইএসএফ এর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। যারা তদন্ত করতে যাচ্ছেন যদি খুন করার চক্রান্ত করা হয় তাহলে তদন্তটা কে করবে। তারা তো তাদের কাজটা করবেন। তাই তারা তাদের প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে জন্যই তারা করছেন।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এই কথা শোভা পায় না। তিনি যেভাবে দেশের একজন উপরাষ্ট্রপতিকে কু কথায় ব্যঙ্গ করে দেখিয়েছেন ওনার মুখে দেশ ভক্তি শোভা পায় না। লোকসভার শেষ অধিবেসন প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৯ সালে ১৮ জন সাংসদ আমাদের গিয়েছিল। তৃণমূলের অনেকেই হেরে গিয়েছিল ।তারা যেতে পারেননি সেটাই তাদের শেষ দেখা হয়েছিল। আমার মনে হয় ২০২৪ সেও যে কজন সাংসদ রয়েছেন তৃনমূলের তাদের ৫০ শতাংশের বেশি তৃনমূল সাংসদের এটাই শেষ অধিবেসন হবে।