এই মুহূর্তে জেলা

ফুরফুরায় হাই মাদ্রাসার ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল।

হুগলি, ৩১ ডিসেম্বর:- মাদ্রাসার ছয়টি আসনের জন্য ভোট গ্রহন হয় আজ। ৫৫০ জন অভিভাবকের মধ্যে ৩২২ জন অভিভবাক ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশ নেন মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি গঠনের জন্য। ছয়টি আসনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃনমূল ও সিপিএম আইএসএফ জোটের প্রার্থীরা। ছয়টি আসনেই পরাজিত হয় তৃনমূল। সন্ধার পর ভোট গণনা শেষ হতেই উল্লাসে ফেটে পরে সিপিএম আইএসএফ সমর্থকরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে ফুরফুরা দখল করেছিল তৃনমূল এমনই অভিযোগ ছিল বাম আইএসএফ এর। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ব্যাপক বোমাবাজি পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ হয় ফুরফুরায়। আইএসএফ এর অভিযোগ ছিল জোর করে পঞ্চায়েত দখল নিয়েছে শাসক দল। মানুষের রায় তাদের পক্ষে ছিল। আজ মাদ্রাসার ভোটে তার জবাব দিয়েছেন তারা। পঞ্চায়েত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়ে রয়েছে। মাদ্রাসায় নির্বাচন করানোর জন্যও সেই হাইকোর্টেই যেতে হয়েছিল আইএসএফকে। ২০১১ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি ফুরফুরা মাদ্রাসায়। আদালতের নির্দেশেই আজ নির্বাচন হয়।

কড়া পুলিশি ব্যবস্থা ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে পুলিশ ঝুঁকি নিতে চায়নি। সিপিএম ফুরফুরা এড়িয়া কমিটির সদস্য শামসুল আরিফি বলেন, শাসক দল জোর করে পঞ্চায়েত দখল নিয়েছিল। বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল ফুরফুরার মানুষ অশান্তি চায়। আজ মাদ্রাসার নির্বাচনে ফুরফুরার মানুষ প্রমান করে দিয়েছেন তারা কি চান। ফুরফুরায় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হল। পুলিশ প্রশাসন থেকে অভিভাবকে ধন্যবাদ। আইএসএফ এর আবু আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, এগারো সালের পর থেকে মাদ্রাসায় ভোট করতে দেয়নি। আমরা আদালতে মামলা করেছি।একবার শিক্ষকরা ভোটের দিন ঘোষনা করেছিল কমিটি তা করতে দেয়নি। আজ ভোটে তার জবাব দিয়েছে মানুষ। মাদ্রাসায় অনেক দূর্নীতি হয়েছে এবার সব বের করা হবে। আদালতের রায়ে ফুরফুরা পঞ্চায়েতও আমাদের হবে। হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ফুরফুরা মাদ্রাসায় নির্বাচনে ছয়টা আসনে পরাজয় হয়েছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে। মাদ্রাসা কমিটি গঠনের ভোট অভিভাবকদের ভোট। সেখানে কাউকে জোর করার প্রশ্ন নেই। তবু কেন পরাজয় তা দেখা হবে।