হুগলি, ২১ ডিসেম্বর:- কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান দেবানন্দপুরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলবে পর্যটন দপ্তর ঘোষণা হয়েছিল চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর শরৎ চন্দ্রের ১০৮ তম জন্ম বার্ষিকির অনুষ্ঠান চলার সময়। আজ তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। কলকাতায় ক্রিসমাস ফেস্টিভেল এর সূচনা অনুষ্ঠান থেকে যার ভার্চুয়াল সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জন্ম স্থান হুগলির দেবানন্দপুরে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। দেবদাস, পরিণীতা, চরিত্রহীন, গৃহদাহের মত অসংখ্য কালজয়ী উপন্যাসের অমর স্রষ্টা শরৎচন্দ্রের জন্মস্থানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ঠিল ছোঁড়া দূরত্বে দেবানন্দপুর। সেই গ্রামে ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন বাংলা সাহিত্য জগতের অন্যতম নক্ষত্র যার লেখনীর জন্য তাকে কথা শিল্পী বলা হয়। সেই সাহিত্যিকের জন্মভিটে ও গ্রাম কেমন যেন অনাদরে পরেছিল। শরৎচন্দ্রের বসত বাড়ি সংস্কার, একটি সংগ্রহশালা, তার নামাঙ্কিত একটি সেমিনার হল স্কুল ছাড়া আর কিছু হয়নি এতদিন।
এলাকার মানুষের দাবী ছিল হাওড়ার সামতাবেড়ের মত হুগলির দেবানন্দপুরকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হোক। এতদিন পর সেই চাহিদা পূরন হতে চলেছে। প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এক কোটি দশ লক্ষ টাকা দিয়ে দেবানন্দপুর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে দেবানন্দ পুরে শরৎচন্দ্রের জন্মস্থান গড়ে তোলা হবে বিশ্রাম ঘর। সংস্কার করা হবে প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালা। একইসঙ্গে সংস্কার করা হবে সংগ্রহশালা। চারটি শিব মন্দির। সংস্কার করা হবে স্মৃতি মন্দির চত্ত্বরে থাকা কথা শিল্পী শরৎ চন্দ্রের মূর্তি। সংস্কার করা হবে সেমিনার হল এবং স্মৃতি মন্দির। পর্যটন কেন্দ্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে দেবানন্দপুর চত্ত্বরে থাকা কথা শিল্পীর ছোট বড় যাবতীয় স্মৃতি। ঢেলে সাজানো হবে সমগ্র দেবানন্দপুরকে। জেলা শাসক মুক্তা আর্য বলেন,আগামী দু তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে। দেবানন্দপুরে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলা শাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, বিধায়ক অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার, অরিন্দম গুঁইন, ডিসিপি ঈশানী পাল সহ অতিরিক্ত জেলা শাসকরা ও প্রশাসনের আধিকারীকরা।