এই মুহূর্তে জেলা

১৫ বার ঘন্টা বাজিয়ে সূচনা হলো পঞ্চদশ চুঁচুড়া বইমেলার।

হুগলি, ৯ ডিসেম্বর:- পনেরো বার ঘন্টা বাজিয়ে সূচনা হল পঞ্চদশ চুঁচুড়া বইমেলার।শনিবার চুঁচুড়া ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, রাজা ভট্টাচার্য, অর্পিতা সরকার এবং কলকাতা বইমেলার সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। বই বিক্রির নিরিখে কলকাতা বইমেলার পর রাজ্যের অন্যতম বড় বইমেলা হয়ে ওঠার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়েছে চুঁচুড়া বইমেলা। এবার পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বই বিক্রির লক্ষ নেওয়া হয়েছে। ৪৪ টি প্রকাশনী এবার মেলায় ৭৪ টি স্টল দিয়েছে। মেলা কমিটির তরফে এ বছর অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের নিয়ে ‘সবার হাতে বই, সবার জন্য বই’ সংকল্প করা হয়। বিভিন্ন আবাসিক অনাথ শিশুদের মেলায় এনে তাদের পছন্দ মতো বই দেওয়া হবে। একইসঙ্গে চন্দননগর কমিশনারেটের স্পর্শ’র মাধ্যমে আয়োজন করা হবে প্রবীণ নাগরিকদের স্মৃতি রোমন্থন অনুষ্ঠান। বইমেলার মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।

বইমেলা চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বইমেলার অন্যতম উদ্বোধক প্রচেত গুপ্ত বলেন, প্রকাশক লাভ লোকসান না দেখে বই ছাপান। তাই এত বই ছাপা হয়। বই কিনলে পাঠকের লাভ। বাড়ির ছোটোদের জন্য একটা অন্তত আলামারি না হোক তাক করে দিন। এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ছোটোবেলা কথা উল্লেখ করেন লেখক। বলেন, আমাদের বাড়িতে অনেক আলমারি ছিল। মা আমার আর ভাই এর জন্য একটা আলমারি আনান। সেই আলামারিতে নানা ধরনের বই ছিল। বন্ধুরা ভীর করত।লেখক আরও বলেন, ছোটোবেলায় বই পড়ার অভ্যাস করান। বর্তমান সময়ে অনেক হাতছানি আছে। সোশাল মিডিয়া ডাকছে, টেলিভিশন ডাকছে, সিনেমা হল ডাকছে, রেস্তোরাঁ ডাকছে সেই ডাক উপেক্ষা করে যারা বই মেলায় আসেন তারা একজন এক হাজার জনের সমান। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমকাল বিবৃতি প্রত্রিকার বইমেলা সংখ্যা প্রকাশিত হয়।