কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর:- কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর তারকাদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ওই সংক্রান্ত ভিডিও পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। জনপ্রিয় প্রবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন রাজ্যের বেহাল অবস্থার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী আমোদ প্রমদে মত্ত। গোটা বাংলা দুর্নীতিতে ডুবে। গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী ফিল্ম ফেস্টিভালে সলমন খানের সঙ্গে কোমর দোলচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সামাজিক মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন। এদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে নারী বিদ্বেষী দলের তকমা দিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেমেছে।
দলের দুই নেত্রী তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা আজ বিধানসভা ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। চন্দ্রিমা দেবী বলেন সলমন খানের অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী পায়ের অসুবিধা সত্ত্বেও কিছুক্ষণের জন্য তাদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন। অতিথিকে মর্যাদা দেওয়া বাংলার সংস্কৃতি। তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেভাবে একজন মহিলা মন্ত্রীকে অপমান করেছেন তাতে সমগ্র নারী জাতি অপমানিত হয়েছে। হয়েছlতিনি বলেন ‘আমরা মনে হয়, এই ধরনে কথাগুলি ব্যবহার করার আগে অনেকবার ভাবতে হয়। মাকে অপমান করা হয় না কি? একজন নারীকে অপমান করা মানে নিজের মা-কে অপমান করা, এটা মনে রাখা উচিত। ভাষার উপর দখল থাকার দরকার আছে। এবং ভাষা কোথায় কীভাবে ব্য়বহার করতে হবে, সেটাও বুঝতে হবে’।
বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বাংলায় ওদের কোথাও দাঁত ফোটানোর জায়গা নেই। ২৪ এ সব ফাঁকা হয়ে যাবে। তাই এখন এসব ইস্যু বার করছে। শশী পাঁজা বলেন, এই ঘটনা বিজেপির ধারাবাহিক নারী বিদ্বেষের আরেকটি প্রমাণ। কেন্দ্রীয় সরকার মুখে নারীদের মর্যাদার কথা বললেও ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে মহিলাদের আর্থিক উন্নয়নের গতিরোধ করছে। অন্যদিকে তাদের মন্ত্রীরা নানা রকমের মন্তব্য করে পদে পদে নারীদের অপমান করছে। বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা পশ্চিমবাংলার গিরিরাজ সিংয়ে এই ভিডিয়োটাকে ট্যুইট করে, তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন। একসময়ে তো তাঁর সান্নিধ্যে কাজ করেছে। আর এখন তাঁর নামে টি-শার্ট পরে মমতা চোর! এগুলি কি বাংলার মানুষ মেনে নেবে’?