এই মুহূর্তে কলকাতা

অধ্যক্ষকে অমর্যাদা করার অভিযোগে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু।

কলকাতা, ২৮ নভেম্বর:- বিধানসভার অভ্যন্তরে অধ্যক্ষের অমর্যাদা করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চলতি অধিবেশনের মেয়াদ অথবা আগামী একমাস যেটি কম সময় হবে সেই সময়ের জন্য বিধানসভা থেকে তিনি নিলম্বিত থাকবেন বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। সরকারপক্ষের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়ের আনা এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে আজ সংবিধান নিয়ে প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় ঘটনার সূত্রপাত।

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বক্তব্য রাখার সময় বিধায়কদের দল বদল প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী পক্ষ থেকে দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ওই সব বিধায়করা বাইরে নিজেদের তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ বিধানসভার অভ্যন্তরে তাঁরা এখনো বিরোধী বিধায়ক বলেই পরিচিত হচ্ছেন। এই সময় অধ্যক্ষ তাঁকে থামিয়ে বলেন, বিধানসভার অভ্যন্তরের নথিতে যা আছে সেই অনুযায়ীই বিধায়কদের পরিচয় দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ শঙ্কর বাবুর এই সংক্রান্ত বক্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

বিরোধী দলনেতাকে অধ্যক্ষের আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে স্লোগান দিতে ও কাগজ ছুঁড়তে দেখা যায়। অধ্যক্ষ তাঁকে হুঁশিয়ারি দিলেও তিনি তা মানতে অস্বীকার করেন। কিছুক্ষণ পরে বিজেপি সদস্যরা দল বেঁধে সভা থেকে ওয়াক আউট করে। এর পরেই সরকার পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা বিরোধী দলনেতার আচরণের নিন্দা করে তাঁর সাসপেনশন দাবি করেন। তাপস রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী আজ বিধানসভায় যে আচরণ করছেন তা রাজ্য বিধানসভায় নজিরবিহীন। এর পর তিনি বিরোধী দলনেতার এক মাসের সাসপেনশন এর স্বপক্ষে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।