এই মুহূর্তে কলকাতা

আলুর সারের ওপর ভর্তুকি কমিয়ে রাজ্যের কৃষকদের সংকট তৈরি করল কেন্দ্র।


কলকাতা, ১৭ নভেম্বর:- ফের বঙ্গ বিরোধী পদক্ষেপ কেন্দ্রের মোদী সরকারের। আলু উত্পাদনে দেশের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলা। এবার আলু চাষের জন্য অপরিহার্য সারের উপর ভর্তুকি কমিয়ে রাজ্যের কৃষকদের জন্য সঙ্কট তৈরি করল কেন্দ্র। আলু সহ রবিশস্য চাষে অপরিহার্য এনপিকে ১০ঃ২৬ঃ২৬ পটাশ সার।রবি মরসুমে রাজ্যে ৬ লাখ ৭২হাজার হেক্টর কৃষি জমির জন্য ৫ লক্ষ ১ হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সারের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে আলু চাষের জন্য লাগে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন সার। এবার রাজ্যের চাহিদা মত সার দেয়নি কেন্দ্র। যার জন্য আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

এবার ভর্তুকির অঙ্ক কমিয়ে রাজ্যকে নতুন বাবে বঞ্চনার ছক কষা হল বলে রাজ্যের কৃষি কর্তাদের দাবি। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার নবান্নে জানিয়েছেন, এই সারের উপরে একসময় প্রতি কেজিতে ২২ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হলেও গত খরিফ মরসুমের আগে তা কমিয়ে ২ টাকা ৩৮ পয়সা করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে দরিদ্র কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি রাজ্যের চাহিদামত যোগান না দেওয়ায় এই সার নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে। যা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, ‘কালোবাজারি রুখতে আমরা একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে ডিলারদের কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে। লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হতে পারে।’

সেইসঙ্গে তিনি এও জানান, কালোবাজারি রুখতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেসব জায়গা থেকে অভিযোগ বেশি আসছে, সেইসব জায়গার দোকানগুলিতে হানা দেওয়া হচ্ছে। কী দামে সার বিক্রি করছে তারা, গোডাউনে সার মজুত করে রাখা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। জানা গেছে, দোকানে দোকানে কীভাবে সারের বিক্রি হচ্ছে, দাম কত নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দোকানগুলিতে সারের মূল্য তালিকা টাঙানো আছে কিনা তা নজর রাখা হচ্ছে। যদি না থাকে অবিলম্বে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে দোকানগুলিকে। পাশাপাশি, মজুত সারের হিসেব মিলিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন।