এই মুহূর্তে কলকাতা

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা দু কোটি পেরোলো।


কলকাতা, ৩ অক্টোবর:- রাজ্যের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটি পার করল। সদ্য সমাপ্ত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আরও ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এবার তার সঙ্গে আরও ৯ লক্ষ মহিলা যোগ হওয়ায় ওই সংখ্যা দু কোটি পেরিয়ে গেল। খুব শীঘ্রই ওই মহিলাদের প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য করা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। পুজোর মুখে রাজ্যের এই সমস্ত মহিলার জন্য এটাই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দুর্গাপুজোর উপহার হতে চলেছে বলেও জানাচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই বছর দুর্গা পুজোর আগেই বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র আর্থিক অনুদান পাঠানো শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মাত্র দু’বছরেই সেই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা এবার ২ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এখন বাংলার তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে অবশ্য সবাই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করেই পান। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে রাজ্যের সব থেকে বড় নির্বাচন ছিল সদ্য মিটে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোট। এই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে ডিভিডেন্ড জুগিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার অর্থ কেন্দ্র আটকে রেখে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ‘ক্ষত’ তৈরি করতে চাইলেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাতে কিছুটা প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিদরা। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে মাত্র ১টি রাজ্যে একটি প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় তা কার্যত এক নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে। এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রতি মাসে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হতো প্রায় ১০৯০ কোটি টাকা।