হুগলি, ২৯ সেপ্টেম্বর:- বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত,বাড়ছে হটস্পট,ডেঙ্গির মশা মারতে শুরু হল ড্রোন দিয়ে কিটনাশক স্প্রে করার কাজ। নবান্নে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবের জরুরি বৈঠকের পর হুগলিতে তৎপরতা বেড়েছে জেলা প্রশাসনের।পুরসভা গুলোকে নিয়ে বৈঠক,ব্লকে আলোচনা, নাগরিক সচেতনতায় ট্যাবলো প্রচার শুরু হয়েছে। বুধবার চন্দননগর পৌর নিগমে জেলা শাসক মুক্তা আর্য পুলিশ প্রশাসনের আধিকারীক ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই ড্রোন দিয়ে মশা মারার সিদ্ধান্ত হয়।
সেই মত আজ পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের গোটু, রাজহাট পঞ্চায়েতের ভাটুয়া,বারোল এলাকা যেখানে ডেঙ্গি বাড়ছে হটস্পট জোন হিসাবে চিহৃিত করা হয়েছে সেই এলাকায় ড্রোন উরিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করতে স্প্রে করা হয়। পুজোর মুখে ডেঙ্গির উদ্বেগ বাড়ছে হুগলী জেলায়। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সারে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আড়াইশ। হস্পট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে শহর এবং গ্রামের বেশ কিছু এলাকা। হুগলী জেলার সিএমওএইচ বলেন জেলার ১৮ টি ব্লক হাসপাতাল
পাঁচটা বড় হাসপাতালে জ্বরের রোগিদের জন্য বেড বাড়ানো হয়েছে।কারো ভর্তি হবার প্রয়োজন হলে কোনো অসুবিধা নেই।পাশাপাশি গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে সচেতন হতে হবে।না হলে পুজোর সময় এই রোগির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এখন দিনে রক্ত পরীক্ষা করার পরে ৩০-৪০ জন করে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। হটস্পট জোন হিসাবে বলাগড়, জিরাট,
গুপ্তিপাড়া, চন্ডীতলা, শিয়াখালা,মশাট,হরিপাল ,সিঙ্গুর, পোলবা, শ্রীরামপুর পৌর এলাকার ১৮,১৯,২০, উত্তরপাড়া পৌর এলাকার, ৬,১৫,১৭,১৯ বৈদ্যবাটী পৌর এলাকার ১২,১৬, রিষড়া পৌরএলাকার ২,১৩,১৪, চন্দননগর পৌর নিগমের ১১ নম্বর ওয়ার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে। শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির সংখ্যা বৃদ্ধি চিন্তায় রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে।ডেঙ্গি নিয়ে আজও জেলা শাসক দপ্তরে বৈঠক হয়।