কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর:- রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি পুলিশকেও ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ, নবান্নে সবকটি জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে তিনি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যার মধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পুলিসকে কাজে লাগানোর নির্দেশ অন্যতম। মূলত এলাকায় জল যাতে না জমে সেই দিকে থানা মারফত নজরদারি চালাতে মুখ্যসচিব পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নির্দেশ দেন। পুরসভা এলাকাগুলিতে নির্বাচিত কাউন্সিলার এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। এদিকে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় রেফার বন্ধ করতে মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন,কোনও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী গেলে তাঁকে ফেলে না রেখে চিকিৎসা করতে হবে।মেট্রো রেলওয়ে, রেলওয়ে এবং সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস কর্তৃপক্ষ কে ডেঙ্গু মোকাবিলায় তাদের আওতাধীন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার রাখার কথা বলা হয়েছে।
যারা ডেঙ্গু মোকাবিলার নিয়ম মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে বলে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সবাইয়ের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিন প্রথম দফায় হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। পরে ভার্চুয়ালি বাকি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ শুরু হওয়া বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, জেলা স্বাস্থ্যকর্তা এবং মেডিক্যাল কলেজের সদস্যেদের। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু রুখতে স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক গাইড লাইন রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় সেসব গাইডলাইন মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় আরও কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি বেশি হয়েছে। ফলে খানাখন্দে বেশি করে জল জমছে। এই জল থেকেই ডেঙ্গু মশার বাড়বাড়ন্ত।