এই মুহূর্তে কলকাতা

উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি, রাজভবনে জানালেন রাজ্যপাল।

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর:- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজভবনে আজ এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। ওই সার্চ কমিটিতে কি ভিনরাজ্যের কেউ থাকবেন কিনা সে প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি এড়িয়ে যান। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল জানান, রাজভবন রাজনীতির জায়গা নয়। সংঘাত মুক্ত হওয়ার জায়গা হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাতের আবহে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে নবান্নে পাঠানো তাঁর গোপন চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন। তিনি বলেন ওই চিঠি এখন ইতিহাস। দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গেছে। প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ‘মাঝরাতে’ দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

তার পর মাঝরাতে নবান্নে গোপন চিঠি পাঠানো। একই ধরনের একটি গোপন চিঠি নয়াদিল্লিতে। গত ৯ সেপ্টেম্বর দুই গোপন চিঠিতে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও রাজ্যপালের সেই চিঠিতে ঠিক কী আছে, তা আজও অজানা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এদিন কলাক্রান্তি মিশনের লোগোর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি রাজভবন থেকে বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবস উপলক্ষে একটি সাইকেল মার্চেরও সূচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের শিল্প- সংস্কৃতির উন্নয়নই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। রাজভবন বাংলায় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করছে। শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন শক্তি। রাজ্যপাল বলেন কলা ক্রান্তি মিশন দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করবে এবং এই উদ্যোগ শুধুমাত্র বাংলায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। অন্যান্য রাজ্যও এতে সামিল হবে। দুর্গা পূজার প্রাক্কালে কলা ক্রান্তি মিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।