এই মুহূর্তে জেলা

উপভোক্তাদের থেকে জল দেওয়ার নামে কোন টাকা নেওয়া যাবে না, হুঁশিয়ারি চুঁচুড়ার বিধায়কের।


হুগলি, ১৬ সেপ্টেম্বর:- পানীয় জলের জন্য বাড়ি বাড়ি থেকে টাকা তুলছিল ঠিকাদার। বিধায়কের ধমকে নাগরিকদের থেকে নেওয়া টাকা ফেরৎ দেন ঠিকাদার। আজ ঠিকাদার এবং চুঁচুড়া পুরসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিধায়ক। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার এগারো নম্বর ওয়ার্ডের জগুদাসপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ লাইন বসাচ্ছে পুরসভা। একই হোল্ডিং এ একাধিক শরীক থাকলে তারাও বিনা মূল্যে এই জল পাবেন। বিনা পয়সায় গৃহস্থের বাড়িতে জল পৌঁছে দেবার কথা অথচ ঠিকাদার রসিদ ছাড়া ইচ্ছেমত কারও থেকে দুই হাজার আবার কারও থেকে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছিলেন জলের লাইন দেওয়ার জন্য। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার বাসিন্দাদের থেকে বেআইনি ভাবে তোলা টাকা ফেরৎ করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তারপরই শনিবার পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং ঠিকাদারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিধায়ক।

আর কোনও ওয়ার্ডে জলের জন্য টাকা তোলা হচ্ছে কিনা তার খোঁজ খবর নেন তিনি। বৈঠকে বিধায়ক স্পস্ট জানিয়ে দেন কোনও উপভোক্তার থেকে জল দেওয়ার নাম করে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। বৈঠক শেষে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমাদের সরকার প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে জল পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এই পরিষেবা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে কারোর দুই ফুট পাইপে কানেকশন হয়ে যাচ্ছে আবার কারোর ত্রিশ ফুটের বেশি পাইপ লাগছে।কিন্তু যাদের বাড়িতে ত্রিশ ফুটের বেশি পাইপ প্রয়োজন তাঁদের বাড়ি থেকে পুরসভার অজান্তে কিছু ঠিকাদার কানেকশন এর জন্য টাকা তুলেছিল। কানেকশনের জন্য যার যত ফুট পাইপ প্রয়োজন তাঁদের সেটা দিতে হবে। তার জন্য কারোর থেকে কোনও রকম টাকা নেওয়া যাবে না। গত শুক্রবার একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম যে ১১ নং ওয়ার্ডে কিছু মানুষের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি গতকাল সেই ওয়ার্ডে ঠিকাদারকে নিয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের সেই টাকা ফেরৎ দেওয়া করিয়েছি। আমরা বিনামূল্যেই প্রত্যেকের বাড়িতে জল পৌঁছে দেব।