কলকাতা, ২৯ আগস্ট:- রাজ্য সরকারের জেলায় জেলায় মিষ্টি হাব গড়ে তোলার উদ্যোগ আগেই নেওয়া হয়েছে। তার মাঝেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন রাজারহাট নিউটাউনের ইকোপার্কে হবে আরও একটি মিষ্টি হাব। মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে রাজ্য সেখানে ২০ কাঠা জমি দেবে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতিকে। সেই জমিতে গড়ে উঠবে নতুন একটি মিষ্টি হাব যেখানে প্রতিটি জেলার জন্য একটি করে স্টল থাকবে আর সেই স্টলে থাকবে সেই জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টি সমূহ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেই মিষ্টি হাবের নামকরণও করেছেন। নবান্নের সঙ্গে নামের ছন্দ মিলিয়ে ‘মিষ্টান্ন’ নাম রেখেছেন। মঙ্গলবার কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে মিলন উৎসবের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইকো পার্কে বর্তমান মিষ্টি হাবের উল্টো দিকে জমি দেওয়া হবে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতিকে। কেন সেই জায়গাকেই বাছা হয়েছে, তা- ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওখানে কোটি কোটি লোক যায়। লোক যেখানে যায়, সেখানেই হবে মিষ্টি হাব। আপনারা প্যাকেট করে রাখবেন, মিষ্টি নিয়ে চলে যাবেন। ছোট, বড়, মাঝারি প্যাকেট, বিক্রি হয়ে যাবে।
আপনারা ১০ কাঠা চেয়েছেন, আমরা ২০ কাঠা দেব। চেষ্টা করব ১ টাকায় দিতে।’ সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ববি পরের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়ে আসবে।’ অর্থাৎ পরের মন্ত্রিসভার বৈঠকেই পাশ করিয়ে নেওয়া হবে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে ইকোপার্কে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতিকে ২০ কাঠা জমি দেওয়ার বিষয়টি। কেমন হবে নতুন সেই মিষ্টি হাব, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘সব জেলার জন্য একটা স্টল দিতে চেষ্টা করবেন। সব জেলায় যা বিখ্যাত, নিয়ে আসতে চেষ্টা করবেন। সিউড়িতে যেমন মোরব্বা বিখ্যাত।’ মিষ্টির পাশাপাশি হাবে মাদুর, পটচিত্র বিক্রির পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিষ্টির বিক্রি বাড়াতে জন্মদিনে পায়েসের কেক তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। মমতার মতে, ছানার কেকের সঙ্গে সেখানে মিশিয়ে দেওয়া হবে চাল।এ ভাবে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের বিক্রি বৃদ্ধি করার একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এই হাবে কাজ করতে পারবেন মেয়েরাও।