এই মুহূর্তে জেলা

সীমানার পাঁচিল নিয়ে বচসার জেরে প্রতিবেশীর হাতে গুরুতর জখম গোটা পরিবার।

হুগলি, ৮ জুন:- জমির সীমানার পাঁচিল নিয়ে বচসার সূত্রপাত। ঘটনায় প্রতিবেশী ১ পরিবারকে মারধোরের অভিযোগ অন্য এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সাহাগঞ্জ ঈশ্বরবাহা এলাকার। ঘটনায় শেখ রুবিয়াল হোসেন ও তার স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে মারধোরের অভিযোগ প্রতিবেশী মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত শেখ রুবিয়াল আলির স্ত্রী রোজিনা বেগম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর স্থানীয় শেখ রুবিয়াল আলির বাড়ির সীমানার পাঁচিলকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিলো বচসা। সরকারী তরফে একপ্রকার মীমাংসা হয়ে গেলেও ফের একই জিনিসকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় বলেই অভিযোগ।

অভিযোগ এদিন চুঁচুড়া মগরা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহঃ জহিরুদ্দিন ও মাসুদ হোসেন উপস্থিত হয় প্রতিবেশী শেখ রুবিয়ালের বাড়িতে। অভিযোগ এরপর মহঃ জহিরুদ্দিন শেখ রুবিয়ালকে তার ওই পাঁচিল তৎক্ষনাৎ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে পাঁচিল ভাঙার সময় চাইতেই মাসুদ হোসেন অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রুবিয়ালের স্ত্রী ও বছর দশেকের শিশুকন্যার উপর। কিল চড় ঘুসির পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে মাথায় মারারও অভিযোগ ওঠে মাসুদের বিরুদ্ধে।অভিযোগ পাঁচিলও ভেঙে ফেলা হয় তখনই। এখানেই শেষ নয় স্ত্রী কন্যার আর্ত চিৎকার শুনে তাদের বাঁচাতে গেলেও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জাহিরুদ্দিন তাকে আটকে রাখে বলেই অভিযোগ।

এরপরই মাসুদ হোসেন হঠাৎ ছুরি বের করে আঘাত করে রুবিয়াল ও তার স্ত্রীকে।ঘটনায় গুরুতর রোজিনা বেগম বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত পরিবার অবশেষে সুবিচারের আশায় থানার দ্বারস্থ হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই পরিবারের তরফে।অন্যদিকে এ বিষয়ে আরেক অভিযুক্ত তথা চুঁচুড়া মগরা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহঃ জহিরুদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান কোনো ধরনের মারধোর তার সামনে হয়নি। এমনকি পাঁচিলও ভাঙা হয়েছে বলে তিনি জানেন না বলেই জানান।