কলকাতা, ৭ জুন:- সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রাজ্যের ১০৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৬ জনের মৃতদেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ৪০-৫০ জন এখনো নিখোঁজ। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৭২ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের হাত পা চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে। অল্প বিস্তর আহত হয়েছেন ৬৩৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ এ ধরনের বেশকিছু পরিবারকে অর্থ সাহায্য এবং সরকারী সুযোগ-সুবিধা তুলে দেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শ্রম দফতর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মৃত এবং অঙ্গহানি হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, এবং পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার পত্র তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও সংসার প্রতিপালনের জন্য তাদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস তাদের আরো দু হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহত ১৭২ জনকে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ছাড়াও ১০ হাজার টাকার এককালীন অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তারাও আগামী তিন মাস সরকারের কাছ থেকে সংসার প্রতিপালনের জন্য দু হাজার টাকা করে পাবেন। অল্প আহত ৬৩৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং সংসার প্রতিপালনের খরচ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলে পড়া ৭৯৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককেও সংসার প্রতিপালনের খরচা দেওয়া হবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা গ্রস্থ পরিবার গুলির পাশে দাঁড়িয়ে আরো বিভিন্ন সহায়তার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৫০টি ছেলে ও ৫০ টি মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর ভার সরকার গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ আবেদন জানালেও তা বিবেচনা করা হবে। যেসব মানুষ পেশাগত কারণে ওই ট্রেনে করে ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন তারা যাতে নিজের এলাকায় কাজ পান তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনা গ্রস্ত পরিবারের মহিলাদের আশা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিনি নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা কে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী দিনেও সরকার সব রকম ভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে থাকবে। এইসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আগামী ৬ মাস প্রত্যেক জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিযুক্ত থাকবেন।
