এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়া থেকে নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন শ্রীরামপুরে, সৌজন্যে হ্যাম রেডিও।


হুগলি, ২৮ মে:- আবারও হ্যাম রেডিওর সৌজন্যে স্বামী রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় তার জীবনের একমাত্র ভরসার পাত্রী তার স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন। নিখোঁজ স্ত্রীর নাম পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১১ মে হাওড়া সালকিয়ার বাপের বাড়ি থেকে সকালবেলায় বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান পূর্ণিমা দেবী। তারপর থেকেই অসহায়ের মত স্বামী রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রীকে খুঁজে চলেছেন। পরে রবিবার হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে তিনি খবর পান যে তার স্ত্রী শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রঞ্জিত বাবু জানান তার বাড়ি ঢাকুরিয়ায়। সালকিয়ায় তার নিজের একটি স্টেশনারি দোকান আছে। তাদের কোন সন্তান না থাকলেও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল। সম্প্রতি স্ত্রীর মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ডাক্তার দেখাচ্ছিলেন।

কিছুদিন হল শাশুড়ি তার স্ত্রীকে সালকিয়ার বাড়িতে নিজের কাছে নিয়ে রেখেছেন। কিন্তু গত ১১মে হঠাৎই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান পূর্ণিমা দেবী। হাওড়া মালিপাঁচঘড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। ইতিমধ্যে ১৫ ই মে শ্রীরামপুরের একটি গঙ্গার ঘাটে এক মহিলাকে লাঠি হাতে ঘুরতে দেখা যায় এবং সন্তান না থাকা সত্ত্বেও তাকে বলতে শোনা যায় তার দুই সন্তান রয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তাকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বাসুদেব জোয়ারদার হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হ্যাম রেডিওর সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন ভদ্রমহিলাকে বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলেই উনি কখনো মেদিনীপুর বলেন,

কখনো মুকুন্দপুর বলেন। এরপর তারা ওই মহিলার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। বিভিন্ন জায়গায় ছবি দেখিয়ে খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত ঢাকুরিয়ায় রঞ্জিতবাবু ওই মহিলাকে তার স্ত্রী বলে চিহ্নিত করেন। রঞ্জিতবাবু আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি দেখিয়ে তার পূর্ণিমা দেবী যে তার স্ত্রী তার প্রমাণ দেন। এদিকে স্ত্রীর খবর পেয়েই রঞ্জিত বাবু রবিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ছুটে যান স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু রবিবার হাসপাতালে কোন রোগীকে ছুটি দেওয়া হয় না। সোমবার তিনি স্ত্রীকে ছুটি করিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। রঞ্জিত বাবু বলেন হ্যাম রেডিওর কাছে তিনি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবেন।