এই মুহূর্তে কলকাতা

এবার থেকে বেআইনি বাজি কারখানার সন্ধান দিলেই মিলবে পুরস্কার।

কলকাতা, ২৬ মে:- এবার থেকে বেআইনি বাজি কারখানার সন্ধান দিলেই মিলবে পুরস্কার।একের পর এক বাজি কারখানায় দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদি, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং বাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবরা। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, এখন থেকে বাজি কারখানা তৈরি করার আগে বাধ্যতামূলকভাবে এক্সপ্লোসিভ এবং ফায়ার লাইসেন্স নিতে হবে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণের শংসাপত্রও থাকতে হবে। যেসব গুদামে বাজি মজুত থাকবে, তার জন্যও লাইসেন্স নিতে হবে। যে বাজিগুলি তৈরি হবে সেগুলি আগেভাগে পরীক্ষা করে দেখার কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার।

বাজি কারখানাগুলির ক্লাস্টার তৈরি করার জন্য বেসরকারি উদ্যোগপতিরাও উৎসাহ দেখাচ্ছেন। লোকালয় থেকে দূরে ক্লাস্টার নির্মাণের উপযুক্ত জমি চিহ্নিত করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে যখন তখন শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করা হবে। শুধুমাত্র দীপাবলী, ছটপুজো, বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে ফাটানো যাবে শব্দবাজি। তাও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হবে। শুধুমাত্র গ্রিন ক্র্যাকার অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব বাজিই ফাটানো যাবে। অন্য কোনওরকম বাজি ফাটানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। দীপাবলীতে রাত আটটা থেকে ১০ টা পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যাবে। ছটপুজোতে ফাটানো যাবে ভোর ছ’টা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ার ইভে রাত ১১ টা ৫৫ থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যাবে। ২০২১ সালেই রাজ্য সরকার এই আদেশনামা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এবার থেকে এই নির্দেশ কঠোরভাবে মানা হবে।